তিন কোটি মামলা ঝুলে। বিচারপতিই নেই যথেষ্ট। কথাটা বলতে গিয়ে গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সামনে কেঁদেই ফেলেছিলেন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর। সাত মাস আগে তাঁরই নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে লোকবলের অভাবের কথা বলে কেঁদে বাঁচি দশা হয়েছিল সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির প্রধান অনিল সিন্হা আজ কর্মিবর্গ ও আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে হাজির হয়ে তাঁদের দুর্দশার ছবিটি সবিস্তার তুলে ধরলেন। জানালেন, বর্তমানে তাঁদের পক্ষে বছরে ৭০০টি মামলার তদন্ত করা সম্ভব। অথচ ঘাড়ে চেপে আছে তার দ্বিগুণ মামলা। জমে থাকা মামলা ১২০০ ছুঁয়েছে। বিদেশে তদন্ত দরকার ৬২টির। যার ৩১টিই ঝুলে আছে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। এর অন্যতম কারণ, সংস্থার ৭,২৭৪টি পদের মধ্যে ১,৫৩১টিতেই লোক নেই। নিদেন পক্ষে ডেপুটেশনে লোক না নিলে লোকবলের অভাবেই ভেঙে পড়বে সিবিআই।
বিষয়টি নিয়ে নাড়া পড়েছিল সাত মাস আগে, সারদা তদন্তের সূত্রে। ওই তদন্ত না এগোনোর কারণ হিসেবে লোকবল না থাকার কথা বলায় বিচারপতি টি এস ঠাকুরের বেঞ্চ রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটিকে। মন্তব্য করেছিল, সিবিআই কেন চাপ বুঝে লোকবল বাড়ায়নি, তা নিয়েই সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন। সিবিআই কবুল করেছিল ১৯৬৩ সালের পরে আর কর্মীর সংখ্যা পর্যালোচনাই করা হয়নি। সরকারের কাছে তাই স্থায়ী কমিটির সুপারিশ, জুন মাসের মধ্যে পর্যালোচনার কাজ শেষ করা হোক।