—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। কিন্তু গুজরাতে সেই তুলনায় ৭৩.৭ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। এই পরিসংখ্যান দেখিয়ে আজ বিজেপি দাবি করল, বিরোধী-শাসিত রাজ্যে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্বমূলক ভাবে ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে বলে বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছিল। বিজেপির যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে খসড়া তালিকায় মাত্র ৭.৬% ভোটার বাদ গিয়েছে। সেই তুলনায় বিজেপি-শাসিত গুজরাতে ভোটার তালিকায় ১৪.৫% ভোটার বাদ গিয়েছে।
বিহারের পরে যে ১২টি রাজ্যে এসআইআর হয়েছে, সেখানে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গুজরাত ও রাজস্থানের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৫৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। ডিএমকে-শাসিত তামিলনাড়ুতে নাম বাদের সংখ্যা সবথেকে বেশি, ৯৭ লক্ষ। ভোটার তালিকার প্রায় ১৫ শতাংশ। গুজরাতে বাদ গিয়েছে ৭৩.৭ লক্ষ নাম। ভোটার তালিকার ১৪.৫ শতাংশ। বিজেপি-শাসিত রাজস্থানে প্রায় ৪২ লক্ষ বা ৭.৬৯ শতাংশ নাম বাদ গিয়েছে। বিজেপি আজ এদের ‘ভুতুড়ে ভোটার’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ এই তালিকায় মৃত, স্থানান্তরিত, অনুপস্থিত ও ডুপ্লিকেট ভোটার রয়েছে। বিজেপির যুক্তি, ‘‘যাঁরা এত দিন ভোটারদের নাম বাদ নিয়ে নাকে কাঁদছিলেন, তাঁদের এখন আয়নার সামনে দাঁড়ানো প্রয়োজন। গণতন্ত্রের জন্য ভোটার তালিকার এই শুদ্ধিকরণ জরুরি ছিল। এটা পক্ষপাতিত্ব নয়।’’
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, ‘‘এসআইআর করে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা হবে বলা হয়েছিল। কত জন অনু্প্রবেশকারী ধরা পড়ল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার জবাব দিন।’’ বিরোধীদের যুক্তি, শনিবার দিল্লিতে নাগরিক সংগঠনের আয়োজনে এসআইআর নিয়ে জনশুনানিতে সারা দেশের সংখ্যালঘু, প্রান্তিক, জনজাতির মানুষ জানিয়েছেন, এসআইআর-এর ফলে তাঁদের চরম হেনস্থা হয়েছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে