সিবিআই নজরে এ বার লালু-চিদম্বরম, প্রতিহিংসা দেখছে বিরোধীরা

তিন বছর আগে আজকের দিনে তাবৎ বিরোধীদের ধূলিসাৎ করে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

তিন বছর আগে আজকের দিনে তাবৎ বিরোধীদের ধূলিসাৎ করে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের যখন একজোট করার চেষ্টা করছেন সনিয়া গাঁধী, বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে— ঠিক তখনই লালুপ্রসাদ থেকে পি চিদম্বরমের মতো শীর্ষ স্তরের বিরোধী নেতার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই-আয়কর দফতর।

Advertisement

বিরোধী দলগুলি এ হেন সাঁড়াশি আক্রমণকে শাসক দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখছে। চিদম্বরম যেমন বলেছেন, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই ছেলে কার্তিকে নিশানা বানানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার চায় আমি মুখ বন্ধ করে থাকি। কিন্তু আমি মুখ বন্ধ করব না।’’ অন্য দিকে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, এত দিন সিবিআই তো ছিলই, এ বার তাঁর দলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে আয়কর দফতরও। বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়েই দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, ‘‘আমরা কখনই কোনও সরকারি এজেন্সিকে ব্যবহার বা অপব্যবহার করি না। মায়াবতী, মুলায়ম, লালুপ্রসাদ বা চিদম্বরমের ছেলের ক্ষেত্রে যে তদন্ত চলছে, তাতে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।’’

ইউপিএ জমানায় নিয়মের বাইরে গিয়ে একটি সংস্থাকে বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের তদন্তে নেমে পি চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি চিদম্বরমের চেন্নাইয়ের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ২০০৮ সালে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক একটি বেসরকারি মিডিয়া সংস্থাকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেয় বলে অভিযোগ। এই সংস্থার মালিক ছিলেন শিনা বরা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পিটার মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। বলা হচ্ছে, বাবা কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী থাকার সুবাদে কার্তি প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছিলেন। বিনিময়ে নিয়েছিলেন ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। পিটার মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ও সংস্থার দফতরেও হানা দেয় সিবিআই। চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বই মিলিয়ে মোট ১৪ জায়গায় তল্লাশি চলে।

Advertisement

আরও পড়ুন:সনিয়া-মমতা বৈঠকে সুর ঐকমত্যেরই

অন্য দিকে লালুপ্রসাদ ও তাঁর ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে ওঠা প্রায় হাজার কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারির তদন্তে আজ পটনা, দিল্লি, গুরুগ্রাম-সহ ২২ জায়গায় হানা দেয় আয়কর দফতর। ক্ষুব্ধ লালু জানিয়েছেন, তিনি মোটেই ভয় পাচ্ছেন না। উল্টে যে ২২টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে আয়কর দফতর দাবি করছে, সেগুলির নাম জানতে চেয়েছেন তিনি। টুইটারে লালু বলেন, ‘‘বিজেপি এবং আরএসএস আমাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে এখন এক জায়গায় আনার ব্যাপারে অনেক কাজ বাকি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন