৩৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরেও মিলল না ‘মুক্তি’, রাজীবকে আজ ফের সিবিআইয়ের তলব 

চার দিন ধরে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরেও রাজীব কুমারকে ‘মুক্তি’ দিল না সিবিআই। গত শনিবার শুরু হওয়া জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব আজ গড়ায় প্রায় ৯ ঘণ্টা। আগামিকাল, বুধবার ফের শিলঙের সিবিআই দফতরে আসতে বলা হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। 

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ ও রাজীবাক্ষ রক্ষিত

শিলং শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫০
Share:

মঙ্গলবার রাতে সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন রাজীব কুমার। ছবি: রাজীবাক্ষ রক্ষিত

চার দিন ধরে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরেও রাজীব কুমারকে ‘মুক্তি’ দিল না সিবিআই। গত শনিবার শুরু হওয়া জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব আজ গড়ায় প্রায় ৯ ঘণ্টা। আগামিকাল, বুধবার ফের শিলঙের সিবিআই দফতরে আসতে বলা হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।

Advertisement

এ দিকে, এ দিনই শিলং ছাড়ার আগে সিবিআইয়ের কাছে লিখিত ভাবে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা সারদা মামলায় অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, তিনি সিট-এর হেফাজতে থাকার সময় তাঁকে যত জন পুলিশ অফিসার জেরা করেছিলেন, তাঁরা সকলেই বলেছিলেন যে, রাজীব কুমারের নির্দেশেই জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু রবি ও সোমবার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সময় কুণালের মুখোমুখি বসে রাজীব দাবি করেন, তিনি হোটেল থেকে ওই অফিসারদের ফোন করেছিলেন। তাঁরা এমন কিছু বলার কথা অস্বীকার করেছেন। কুণালের প্রশ্ন, জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বে রাজীব কী ভাবে এই ধরনের ফোন করেন? এ প্রসঙ্গে রাজীব কুমারের বক্তব্য অবশ্য জানা যায়নি। তাঁর আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় চলে গিয়েছি। ফলে, এ বিষয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না।’’

আজ সকাল ন’টা নাগাদ ওকল্যান্ডে সিবিআই দফতরে পৌঁছন রাজীব। তাঁকে পৌঁছে দিয়ে যান কলকাতা পুলিশের দুই কর্তা জাভেদ শামিম এবং মুরলীধর শর্মা। দুপুর দু’টো নাগাদ তাঁরা ফিরে এলে তিন জনে মিলে মধ্যাহ্নভোজন সারতে যান। ফিরে আসেন ঘণ্টাখানেকের মধ্যে। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রাজীব সিবিআই দফতর থেকে বেরোন।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রীনা মিত্র

এ দিন সকালে সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে গাড়িতে মাঙ্কি টুপি পরা এক ব্যক্তি শিলং-এর দফতরে ঢোকার পর জল্পনা শুরু হয়। প্রথমে উঠে আসে সারদা মামলায় জড়িত রাজ্যের প্রাক্তন এক আইপিএস অফিসারের নাম। কিন্তু তাঁকে ফোন করা হলে তিনি কলকাতার বাড়িতেই আছেন বলে জানান। সন্ধ্যার পরে সিবিআই অফিসারদের গাড়ির পিছনের সিটে মাঝখানে বসে এক ব্যক্তিকে বেরোতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। কারও কারও মতে, ইনিই সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনকে অর্থলগ্নি সংস্থা গড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও সিবিআই সূত্রে এ প্রসঙ্গে কিছুই জানা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন