শিলং সিবিআই দফতরের সামনে কড়া প্রহরা।—ছবি পিটিআই।
মঙ্গলবার সকালে কাচ তোলা গাড়ির ভিতরে বাঁদুরে টুপিতে মুখ ঢেকে এক জন ঢুকেছিলেন ওকল্যান্ডের সিবিআই অফিসে। শুরু হয় জল্পনা, কে তিনি!
সন্ধ্যায় ফের গাড়ির পিছনের সিটে দুই সিবিআই অফিসারের মাঝে বসে এক জনকে বেরোতে দেখা যায়। তাঁর মুখ ঢাকা ছিল না। কিন্তু জল্পনা কমেনি। কেউ কেউ বলেন, ইনি শিবনারায়ণ দাস। যাঁর হাত ধরে অর্থ লগ্নি সংস্থার ব্যবসায় নেমেছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। ‘সিলিকন’ নামে লগ্নি সংস্থার এই মালিককে এক সময় সিবিআই গ্রেফতারও করেছিল। বুধবার সকালে শিবনারায়ণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কলকাতাতেই রয়েছি।’’
তা হলে কে এলেন, কে গেলেন!
সিবিআই সূত্র বলছে, সকালে বাঁদুরে টুপি পরে যিনি ঢুকেছিলেন, তিনি কলকাতা থেকে আসা সংস্থারই এক অফিসার। গত ক’দিনে শিলঙের হাড় হিম করা বাতাসের দাপটে তাঁর ঠান্ডা লেগেছে। তাই মঙ্গলবার বাঁদুরে টুপি পরেন। বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে জল্পনা শুরু হওয়ার পরে বাঁদুরে টুপি খুলেই দফতর ছাড়েন তিনি। সন্ধেবেলায় গাড়িতে বসা যাঁকে ঘিরে জল্পনা, তিনি ভুবনেশ্বর থেকে আসা এক অফিসার বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। তারা জানাচ্ছে, কুণাল ঘোষ ছাড়া আর কাউকে রাজীব কুমারের মুখোমুখি বসাতে শিলঙে আনা হয়নি।