প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত শেষ! রয়েই গেল প্রশ্ন

ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার, হেড ক্যাশিয়ারের সঙ্গে খাতির থাকায় অর্থনীতির পরীক্ষার তিন দিন আগে প্রশ্ন পায় রাকেশ। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে ৪০টি গ্রুপে তা ছড়িয়ে দেয়। ওই ব্যাঙ্ককর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৮ ০২:২০
Share:

সিবিএসই প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত আজ সরকারি ভাবে গুটিয়ে ফেলল দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যদিও উত্তর পাওয়া গেল না একাধিক প্রশ্নের।

Advertisement

হিমাচল প্রদেশের উনা থেকে গত সপ্তাহে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) রামগোপাল নায়েক আজ বলেন, ‘‘হিমাচলে ধৃত ডিএভি স্কুলের অর্থনীতির শিক্ষক রাকেশ কুমারই প্রশ্ন ফাঁসের মূল মাথা। তাকে সাহায্য করে স্কুলের এক কেরানি অমিত শর্মা এবং পিওন অশোক কুমার।’’ পুলিশের দাবি, রাকেশ স্বীকার করেছে যে দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষা ফাঁসের পিছনেও সে ছিল। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এ বছর উনার জহওর নবোদয় বিদ্যালয়ে পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার প্রধানের দায়িত্বে ছিল রাকেশ। সিবিএসইর প্রশ্নপত্র নিয়মানুযায়ী পাঠানো হয় উনার ইউনিয়ন ব্যাঙ্কে। ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার, হেড ক্যাশিয়ারের সঙ্গে খাতির থাকায় অর্থনীতির পরীক্ষার তিন দিন আগে প্রশ্ন পায় রাকেশ। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে ৪০টি গ্রুপে তা ছড়িয়ে দেয়। ওই ব্যাঙ্ককর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হলেও অমীমাংসিত রইল একাধিক প্রশ্ন। প্রথমত, কতজন ছাত্র-ছাত্রী প্রশ্ন ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সুফল পেয়েছিল, জানা গেল না। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি পুলিশ (যদিও সিবিএসই এদিন দিল্লি হাইকোর্টে জানিয়েছে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রশ্ন ফাঁসের প্রভাব ব্যাপক আকারে আদৌ পড়েনি)। দ্বিতীয়ত, রাকেশ কার কথায় ওই হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপে প্রশ্ন দিয়েছিল, জবাব মেলেনি। ধোঁয়াশা থেকে গেল ফাঁস-কাণ্ডে টাকাপয়সা লেনদেনের অভিযোগ নিয়েও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন