Gujarat Hit and Run Case

হাতে বোতল! দুর্ঘটনার আগে কি মদ্যপান করেছিলেন বরোদাকাণ্ডে ধৃত? সিসিটিভিতে ধরা পড়ল দৃশ্য

ওই ঘটনার কিছু ক্ষণ আগে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন রক্ষিত। হাতে ছিল পানীয়ের বোতল। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৪
Share:

(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনার দৃশ্য। ধৃত তরুণ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

গুজরাতের বরোদায় একাধিক পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনায় দিন চারেক আগেই ২০ বছর বয়সি রক্ষিত চৌরাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার জানা গেল, ওই ঘটনার কিছু ক্ষণ আগে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন রক্ষিত। হাতে ছিল পানীয়ের বোতল। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। সেই ভিডিয়োয় বোতল থেকে খেতেও দেখা গিয়েছে রক্ষিতকে। তবে ওই বোতলে কী ছিল, তা এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কিছু ক্ষণ আগে প্রাণশু নামে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন রক্ষিত। ভিডিয়োতেও দেখা যাচ্ছে, রক্ষিত এবং প্রাণশু একটি স্কুটারে চেপে আসছেন। ঘরে ঢোকার আগে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনও হচ্ছে তাঁদের। তার মাঝেই রক্ষিতকে একটি বোতল থেকে কিছু পান করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও বোতলের মধ্যে কী ছিল, তা স্পষ্ট নয়। এর কিছু ক্ষণ পরেই বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন দুই বন্ধু। তার পর উঠছেন দুর্ঘটনায় জড়িত কালো রঙের সেডান গাড়িটিতে। চালকের আসনে গিয়ে বসছেন রক্ষিত, আর পাশের যাত্রীর আসনে প্রাণশু।

তদন্তে রক্ষিতের পূর্ব ইতিহাসও খুঁড়ে বার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মাত্র এক মাস আগেই থানায় হাজিরা দিতে হয়েছিল রক্ষিতকে। ফতেহগঞ্জের একটি আবাসনে ‘পার্টি’ করার নামে শোরগোল করছিলেন রক্ষিত ও তাঁর বন্ধুরা। আবাসনের বাসিন্দারা তাঁদের চুপ করতে বললে তরুণেরা উল্টে তাঁদের হুমকি দিতে এবং গালিগালাজ করতে শুরু করে দেন বলে অভিযোগ। শেষমেশ বাধ্য হয়ে পুলিশ ডাকেন বাসিন্দারা। পুলিশ এসে তরুণদের সায়াজিগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। সে যাত্রায় অবশ্য ক্ষমা চাওয়ার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

গত ১৩ মার্চ রাতে বরোদার করেলিবাগ এলাকায় ব্যস্ত রাস্তায় একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা দেন রক্ষিত। এই ঘটনায় স্কুটিচালক এক মহিলার মৃত্যুও হয়। আহত হন আরও অনেকে। ঘটনার পর পরই অভিযুক্তকে ধরে বেদম প্রহারের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়েরা। অভিযোগ, একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা মারার পরে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার করে রক্ষিত বলছিলেন, ‘‘আরও এক বার হয়ে যাক!’’ যদিও ধরা পড়ার পর তরুণ দাবি করেছেন, ঘটনার সময়ে তিনি মত্ত ছিলেন না, চালকের আসনের এয়ারব্যাগ খুলে যাওয়ায় কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। ফলে কে সামনে আসছে, কাকে ধাক্কা মারছেন— কিছুই তিনি বুঝতে পারছিলেন না! তাঁর আরও দাবি, গাড়ির চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যাওয়ার কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। ওই ঘটনার তদন্তে নেমেই এ বার জানা গেল, দুর্ঘটনার আগে কিছু পান করেছিলেন রক্ষিত। তবে তা মদ কি না, তা এখনও জানা যায়নি। এর পরেই ফের নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement