প্রতীকী ছবি।
টানা ৫ বছর মোট আসন সংখ্যার ৩০ শতাংশও ভরাতে পারেনি বলে ৩০০টিরও বেশি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ হতে চলেছে। এদের মধ্যে ১৫০টি কলেজ ভরাতে পারেনি ২০ শতাংশ আসনও। ২০১৮-’১৯-এর আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিকে ছাত্র ভর্তি বন্ধ করতে বলবে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ছাত্রাভাবে বছরের পর বছর খাঁ খাঁ করছে বলে দেশের আরও ৫০০টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপরেও কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র। মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী দিনে সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন- চিনের প্রভাব রুখতে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন বাড়াচ্ছে ভারত
আরও পড়ুন- ইভাঙ্কার রিপোর্টে খুশি ট্রাম্প, ফোন করলেন মোদীকে
মন্ত্রকের অধীনে থাকা দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (এআইসিটিই)-এর চেয়ারপার্সন অধ্যাপক অনিল ডি সহস্রবুধে জানিয়েছেন, দেশের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির দশা যথেষ্টই বেহাল। ছাত্রছাত্রীর অভাবে খাঁ খাঁ করছে বেশির ভাগ বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কলেজগুলিতে পুরোপুরি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। কলেজগুলির জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণও খুব কম নয় কলেজগুলির। তাই আরও যে ৫০০টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রক কড়া নজর রাখছে, সেগুলিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে বলা হবে না। বরং বলা হবে ওই কলেজগুলিকে বিজ্ঞান কলেজ, নানা রকমের স্কিল গড়ে তোলা ও বৃত্তিশিক্ষার কলেজে নিজেদের বদলে নিতে।
এআইসিটিই-র ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, দেশে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সংখ্যা ৩ হাজার। যেগুলিতে মোট ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারে ১৩ লক্ষ ৫৬ হাজার জন। তার মধ্যে অন্তত ৮০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অবস্থা করুণ। সেগুলির অর্ধেক আসনই খালি পড়ে রয়েছে।