ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়াল নয়াদিল্লি।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ধামাকা! মৃত্যুদিনে হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানিকে শহিদের সম্মান দিয়ে পাকিস্তান কাশ্মীরে অশান্তি তৈরির ছক কষছে বলে ফের সুর চড়াল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে টুইটারে বলেন, ‘‘এক জন সন্ত্রাসবাদীকে মাথায় চড়িয়ে পাকিস্তান যে ভাবে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে এবং সরাসরি এর পৃষ্ঠপোষকতা করছে, এক বাক্যে তা সকলের নিন্দা করা উচিত।’’ আর আজই সন্ধে ৬টা ৪০ নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ও-পার থেকে গুলি ও মর্টার ছুড়ল পাক সেনা। জবাব দিয়েছে ভারতও।
অসন্তোষের সূত্রপাত পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিবৃতি এবং পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াকে উদ্ধৃত করা একটি টুইটকে ঘিরে। বুরহানকে ‘স্মরণ’ করতে গিয়ে গত কাল শরিফ বলেন, ‘‘বুরহানের কুরবানি কাশ্মীর উপত্যকায় স্বাধীনতার লড়াইয়ে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে।’’ বলপ্রয়োগে এই আন্দোলন ঠেকানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যার ঠিক পর-পরই বুরহানের প্রশংসায় টুইট করেন পাক সেনার মুখপাত্র। তার নিন্দা করে বাগলে বলেন, ‘‘প্রথমে লস্করের তৈরি স্ক্রিপ্ট পড়ল পাক বিদেশ মন্ত্রক। তার পর বুরহানকে মহান বানালেন পাক সেনাপ্রধানও।’’
আরও পড়ুন: অভাবের ঠেলা, লাঙল টানছে নাবালিকারাই
তবে বুরহানের মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে ইসলামাবাদ যে এমন করতে পারে, আগেই সন্দেহ আশঙ্কা করেছিলেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি আমেরিকা যখন হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’-র তকমা দিয়েছিল, তখনও এ ভাবেই তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রপুঞ্জকে এড়িয়ে শুধু ভারতকে খুশি করতেই এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। দিল্লির অভিযোগ, এ বার বুরহানের নামে কাশ্মীরে পরিস্থিতি আরও জটিল করতে চাইছে ইসলামাবাদ। বুরহান স্মরণে ৭ জুলাই থেকে কাশ্মীরে শহিদ-সপ্তাহ পালনের ডাক দিয়েছেন সালাউদ্দিনই!
‘সন্ত্রাসে মদতদাতা’ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গত শুক্রবার হামবুর্গে জি-২০ বৈঠকে জোর সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আইএস, বোকো হারামের মতোই গোটা বিশ্বের পক্ষে বিপজ্জনক জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে লস্কর এবং জইশের নাম উল্লেখ করেন তিনি। নাম উল্লেখ না করে এমনকী পাক কর্তাদের জি-২০ আসরে নিষিদ্ধ করার পক্ষেও আর্জি জানান মোদী।
কিন্তু সরকারের একাংশের দাবি, পাকিস্তান যে সমঝে চলার বান্দা নয়, বুরহান-বন্দনায় ফের তা প্রমাণ করে দিয়েছেন শরিফ-বাজওয়া।