দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দিতে মোদী সরকার ভারতের হজ যাত্রীর কোটা বাড়ানোর আর্জি জানাল সৌদি আরবের কাছে। যদিও তাতে সাড়া মেলেনি। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, মক্কার মূল মসজিদ (আল মসজিদ আল হারাম) সংস্কার করে তাকে আরও বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। ফলে এখনই ভারত বা অন্য কোনও দেশের হজযাত্রীর কোটা বাড়ানো যাবে না বলেই নয়াদিল্লিকে জানিয়ে দিয়েছে রিয়াধ।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এই বছর সম্ভব না হলেও প্রধানমন্ত্রী চান মনমোহন সরকারের আমলে হজ যাত্রীর কমিয়ে দেওয়া কোটাকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে আসতে। বা তার চেয়েও বাড়াতে। এখনই না হলেও, কূটনৈতিক স্তরে এ ব্যাপারে সক্রিয় থাকবে সাউথ ব্লক। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই উদ্যোগের ফলে রাতারাতি যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির দিকে চলে আসবে না, এটা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল করেই জানেন। কিন্তু তবুও মোদী বোঝাতে চান, শুধু হিন্দুত্ববাদ নয়, তাঁর লক্ষ্য ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’। দলীয় সূত্রের বক্তব্য, সদস্যপদ বাড়ানোর জন্য ঝাঁপানো ছাড়াও বিজেপি সংখ্যালঘু ভিত্তিকেও ধীরে ধীরে বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল হিন্দু মন জয় করাও সম্ভব হবে।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন প্রচারের সময় মোদী প্রায়ই বলতেন, তাঁর রাজ্যে যত সংখ্যক হজযাত্রী রয়েছেন, তা আর কোনও রাজ্যে নেই। মোদীর দাবি ছিল, হজযাত্রীদের জন্য প্রত্যেক রাজ্যের যে কোটা রয়েছে, তার কাছাকাছি সংখ্যক আবেদনকারী নেই। কিন্তু গুজরাতই একমাত্র রাজ্য যেখানে কোটা পেরিয়েও আবেদনকারী রয়েছেন।
মূল মসজিদটি সংস্কারের জন্য ২০১৩ সালেই সব দেশ থেকে হজযাত্রীর কোটা ২০% কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সৌদি আরব। ফলে ভারতের হজযাত্রীর কোটা ১,৭০,০২৫ জন হলেও তা ২০১৪ সালে কমে হয়ে দাঁড়ায় ১,৩৬,০২০ জনে। এই বছর মোদী সরকার তা বাড়িয়ে ১,৪১,৮৯০ জনের জন্য আবেদন করেছে।