India-Bangladesh Border

বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারিতে বিবিধ পদক্ষেপ, বৃদ্ধি করা হচ্ছে লোকবলও! অনুপ্রবেশের চেষ্টা কত জনের? প্রকাশ করল কেন্দ্র

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে গত বছরে ৪৬১ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ধরা পড়েছেন প্রচুর অনুপ্রবেশকারীও। এই অবস্থায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা প্রকাশ করল কেন্দ্র।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ২০:১৮
Share:

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের টহলদারি। —ফাইল চিত্র।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। বুধবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিন্দানন্দ রাই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে গত বছরে ৪৬১ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মঙ্গলবার লোকসভায় এই তথ্য জানানোর পরের দিনই সীমান্তে নজরদারির জন্য পদক্ষেপের কথা তুলে ধরল কেন্দ্র।

Advertisement

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, নজরদারির জন্য উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা, আরও বেশি লোকবল এবং প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা এখন ‘হ্যান্ড হেল্ড থার্মাল ইমেজার’ ব্যবহার করছেন। বস্তুত, আশপাশে কোথাও বেশি তাপমাত্রা থাকলে, তা ধরা পড়ে এই যন্ত্রে। ফলে কোথাও কেউ লুকিয়ে থাকলে তাঁর শরীরের তাপমাত্রা পৃথক রঙে ধরা পড়ে যন্ত্রে। পাশাপাশি রাতে অন্ধকারের মধ্যে দেখার জন্য বিশেষ যন্ত্রও ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া ইউএভি, সিসিটিভি, পিটিজ়েড ক্যামেরা, ইনফ্রারেড সেন্সরও ব্যবহার করা হচ্ছে। সীমান্তে নজরদারি আরও উন্নত করতে পরীক্ষামূলক ভাবে অসমের ধুবরিতে ‘কম্প্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত, ১৩ মাসে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় কত জন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে, সেই তথ্যও জানিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে এই ১৩ মাসে ২৬০১ জন বাংলাদেশি ধরা পড়েছেন। সব চেয়ে বেশি ধরা পড়েছেন গত বছরের অক্টোবরে। ওই মাসে ৩৩১ জন বাংলাদেশিকে পাকড়াও করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গত বছরের মে মাসে ধরা পড়েছেন ৩২ জন অনুপ্রবেশকারী, ওই ১৩ মাসের হিসাবে এটিই এক মাসে সবচেয়ে কম।

Advertisement

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কেন্দ্র জানিয়েছে, সীমান্তে নজরদারির জন্য বাহিনীর টহলদারি, নাকা এবং নজরদারির চৌকি সজাগ রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ এবং বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে যৌথ অভিযান চালানো হয়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পর্যাপ্ত আলো এবং সীমান্তের জলপথে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জলপথে নজরদারির জন্য রয়েছে ভাসমান সীমান্ত চৌকিও। এ ছাড়া সীমান্তে মানবপাচার রোধ করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নেতৃত্বে ১৫টি দলও টহল দিচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement