ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা শিবিরের উপস্থিতি রয়েছে বলে সরকারি ভাবে স্বীকার করে নিল কেন্দ্র। আজ বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে সম্প্রতি বড় মাপের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না হলেও রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে কিছুটা ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ মনোভাব নিয়ে চলছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭০টি রোহিঙ্গা পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
দিল্লিতে গত ছ’দিন দু’দেশের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিএসএফ ও বিজিবি (বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ)। আজ বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল কে কে শর্মা জানান, সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ তুলনায় কমলেও বঙ্গের সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গাদের জন্য শিবির করে দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে অস্ত্র, গোলাবারুদ থাকার নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলেও বিজিবি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের একাংশের সঙ্গে যোগ আছে জঙ্গি সংগঠনের। সে কারণে রোহিঙ্গাদের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
বাংলাদেশের সঙ্গে ৪,০৯৬ কিমি সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। মায়ানমারে সমস্যা শুরুর পর থেকেই ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতে ঢোকার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা স্বীকার করেছেন বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। কে কে শর্মা বলেন, ‘‘বড় মাপের কোনও অনুপ্রবেশ সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে হয়নি। ভারতে যে রোহিঙ্গারা আছেন, কিছু জায়গায় তাঁরা বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা হলেও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব দেখানোয় সেখানে জড়ো হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। ওই রাজ্যে বেশ কিছু শিবিরও তৈরি হয়েছে। সেখানে যারা আছেন, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে নয়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হয়েছেন। শিবিরগুলিতে প্রায় ৭০টি পরিবার বাস করছে।’’
রোহিঙ্গাদের রুখতে ভারতকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজিবি-র ডিজি মেজর জেনারেল মহম্মদ শাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে প্রচুর রোহিঙ্গা শরণার্থী এসে জমা হয়েছেন। তাঁদের একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারই মধ্যে কেউ কেউ পালিয়ে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের গতিবিধির দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।’’