বিকল্প ব্যর্থ হলে ভরসা ছররাই

জলকামান, কাঁদানে গ্যাস বা লঙ্কা গুঁড়ো—বিকল্প সব ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে তবেই কাশ্মীরে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ছররা বা পেলেট চালানো হবে বলে জানাল কেন্দ্র।গত বছর উপত্যকায় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এই ছররার ব্যবহারে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন শিবিরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:১৯
Share:

জলকামান, কাঁদানে গ্যাস বা লঙ্কা গুঁড়ো—বিকল্প সব ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে তবেই কাশ্মীরে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ছররা বা পেলেট চালানো হবে বলে জানাল কেন্দ্র।

Advertisement

গত বছর উপত্যকায় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এই ছররার ব্যবহারে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন শিবিরে। অভিযোগ ওঠে, বাহিনী কোমরের বেশি উচ্চতায় যথেচ্ছ ভাবে ছররা ছোড়ায় আহত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বহু কাশ্মীরি যুবক। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে ছররা বিঁধে মারাও যান একাধিক ব্যক্তি।

বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সমালোচনার মুখে পড়ে ছররার বিকল্প কী হতে পারে তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। ঘটনাচক্রে গতকালই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় ছররার বিকল্প হিসেবে কী ব্যবহারের কথা ভাবছে সরকার।

Advertisement

প্রতি বছরের মতোই এ বারও বরফ গলতেই বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে কাশ্মীরে। জঙ্গি দমন অভিযানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ছে বাহিনী। আজ ছররা সংক্রান্ত কমিটির রিপোর্ট উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির লোকসভায় জানান, গত ২৬ জুন ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রিপোর্টে দেওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে বাহিনীকে বলা হয়েছে, জনতাকে হটাতে চিরাচরিত জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি পাভা শেল ব্যবহার করতে। লঙ্কার গুঁড়ো ভর্তি পাভা শেল ফাটলে সাময়িক কিন্তু তীব্র জ্বলুনি হবে। আশা করা হচ্ছে এতেই জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়বে। কিন্তু অন্য সব ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে ছররা বা পেলেট বন্দুক ব্যবহার করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, পাভার পাশাপাশি ‘লং রেঞ্জ অ্যাকুউসটিক ডিভাইস’ (এলআইএডি) পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এই ধরনের শেল ফাটলে প্রবল শব্দের সৃষ্টি হয়। যা মানুষকে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বধির ও অসাড় করে দেয়। তবে গ্রামীণ বা শ্রীনগরের শহরতলির যেখানে পুরনো ধাঁচের বাড়ি রয়েছে সেখানে এই শেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ শেল ফাটার প্রবল শব্দে মাটির বা পুরনো ধাঁচের বাড়িতে চিড় ধরতে পারে। সেগুলিতে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন