ফাইল চিত্র
রাহুল গাঁধীর চাপে তথ্য জানার অধিকারের সংশোধনী বিল নিয়ে পিছু হটল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আজই রাজ্যসভাতে আরটিআই সংশোধনী বিলটি আনতে চেয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ হাজিরও ছিলেন। কিন্তু সকালে রাহুল টুইটারে লেখেন, ‘‘সব ভারতীয়ের সত্য জানার অধিকার রয়েছে। বিজেপি মানুষের থেকে সত্য লুকোতে চায়, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের যেন প্রশ্ন করা না হয়। সংশোধনী প্রস্তাব আরটিআই আইনকে অকেজো বানাবে। সব ভারতীয়ের উচিত এর বিরোধিতা করা।’’
বাদল অধিবেশনের আগেই বিরোধীরা মোদীকে জানিয়েছিলেন, সংসদ চলতে দিতে চান তাঁরা। সেই মতো একের পর এক বিল পাশও হচ্ছে। কিন্তু রাহুলের বিরোধিতার পরে বাকি বিরোধীরাও জানিয়ে দেয়, ওই সংশোধনী তাঁরা মানবেন না। পরে রাজ্যসভায় বিল পেশ হয়নি।
প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার ওয়াজাহত হাবিবুল্লা বলেন, ‘‘সরকার সংশোধনী নিয়ে তথ্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেনি। ইউপিএ জমানার বিলকে যেখানে আরও শক্ত করার দরকার ছিল, সেখানে একে দুর্বল করারই চেষ্টা হচ্ছে।’’ আরটিআই-কর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজের অভিযোগ, সংশোধিত বিল এলে তথ্য কমিশনের স্বশাসন নষ্ট হবে।
সনিয়া গাঁধীর উদ্যোগে আরটিআই আইন হয়েছিল। কিন্তু মোদী সরকার এখন কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে তথ্য কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদ নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিষ্ঠানের স্বশাসন খর্ব করতে চাইছে। মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেও সংশোধিত বিলের খসড়া প্রকাশ্যে আসেনি।