Migrant Workers

৩ লক্ষ পরিযায়ীর জন্য কম খরচে ঘর, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

লকডাউনের পরে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক পায়ে হেঁটে গ্রামে ফিরেছিলেন। শ্রমিকদের এই হয়রানিকে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো দল বিহার, বাংলা, অসমের ভোটে হাতিয়ার করতে চাইছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০৩:১৮
Share:

ফাইল চিত্র।

পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতে মলম দিতে শহরেই কম ভাড়ার আবাসন তৈরি হবে। আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজে ঘোষিত এই প্রকল্পে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিলমোহর বসিয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৩ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কম ভাড়ায় ঘরের বন্দোবস্ত করা হবে। ভাড়া বেঁধে দেবে স্থানীয় পুরসভা বা পুরনিগম। মাসে ঘরভাড়া ১ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে থাকবে বলে সরকার সূত্রে দাবি।

Advertisement

লকডাউনের পরে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক পায়ে হেঁটে গ্রামে ফিরেছিলেন। শ্রমিকদের এই হয়রানিকে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো দল বিহার, বাংলা, অসমের ভোটে হাতিয়ার করতে চাইছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের মন জিততে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাই জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাথা পিছু পাঁচ কেজি করে বিনা মূল্যে চাল-গম বিলির সিদ্ধান্তে সিলমোহর বসিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় প্রাথমিক ভাবে তিন মাস এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় মোদী এই
সুবিধা নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।

শুধু চাল-গম নয়। উজ্জ্বলা যোজনায় নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ পাওয়া ৭.৪ কোটি গরিব মহিলাদের আরও তিন মাস, অর্থাৎ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে তিনটি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। লকডাউনের পরে ছোট সংস্থাগুলির কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমার কর্মীদের ১২ শতাংশ ও সংস্থার ১২ শতাংশ তিন মাস সরকার জমা করবে বলে ঘোষণা হয়েছিল। এই প্রকল্পের সুবিধাও জুন থেকে আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। ৩.৬৭ লক্ষ সংস্থা ও তার প্রায় ৭২ লক্ষ কর্মী এতে উপকৃত হবেন।

Advertisement

কী কী সুবিধা

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য শহরে কম ভাড়ার আবাসন প্রকল্প

জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৮০ কোটি মানুষকে মাথা পিছু পাঁচ কেজি করে চাল-গমের সিদ্ধান্তে সিলমোহর

উজ্জ্বলা যোজনায় আরও তিন মাস গরিব মহিলাদের মাসে একটি করে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার

ছোট সংস্থা ও তাদের কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমার বোঝা আরও তিন মাস সরকার বইবে

আরও পড়ুন: ভারতে টিকটকের বাজার ধরতে ঝাপাচ্ছে ইনস্টাগ্রাম রিল

এরই সঙ্গে পূর্বঘোষণা মোতাবেক সরকারের সিদ্ধান্ত, গ্রাম থেকে শহরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দ্রুত কম ভাড়ায় বাড়ির বন্দোবস্ত করতে ইউপিএ-সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রকল্পে তৈরি আবাসনগুলিকে কাজে লাগানো হবে। প্রাথমিক ভাবে যে ৩ লক্ষ শ্রমিক এই সুবিধা পাবেন, তার মধ্যে নির্মাণ কর্মী, হোটেল-রেস্তরাঁর কর্মী, বাড়িতে, দোকানে কাজ করা কর্মী ও ছাত্ররাও থাকবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ১০৭টি শহরে ১.৮ লক্ষ এক কামরার ঘর খালি পড়ে রয়েছে। ইউপিএ-জমানায় জেএনএনইউআরএম ও রাজীব আবাস যোজনায় এই সব বাড়ি তৈরি হয়েছিল। এখন সরকারি সাহায্যে যে সব আবাসন তৈরি হচ্ছে, সেগুলিকে কম ভাড়ার আবাসনে রূপান্তরিত করতে ২৫ বছরের চুক্তি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আরও ১.১৫ লক্ষ বাড়ি ও ডরমিটরি তৈরি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন