Supreme Court

দোষী রাজনীতিকদের চিরতরে ভোটে দাঁড়ানো বন্ধ করা ঠিক হবে না, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র

দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিকদের চিরতরে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেওয়া ‘নিষ্ঠুরতা’। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৪
Share:

বর্তমান জনপ্রতিনিধিত্ব আইন বহাল রাখার পক্ষে আদালতে সওয়াল কেন্দ্রের। —ফাইল ছবি।

দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিকদের চিরতরে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেওয়া ‘নিষ্ঠুরতা’। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

Advertisement

আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করে দোষী সাব্যস্ত হওয়া রাজনীতিকদের ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার সারা জীবনের জন্য কেড়ে নেওয়ার আর্জি জানান। এর পাশাপাশি দেশের সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি মামলাগুলি চলছে, সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান তিনি। এই মামলায় কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ।

এই মামলার প্রেক্ষিতে হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্র জানায়, একজন সাংসদকে সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে কি না, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র সংসদই।

Advertisement

বর্তমান জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে, কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ-বিধায়কের দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে তৎক্ষণাৎ তাঁর বা তাঁদের সাংসদ বা বিধায়কপদ চলে যাবে। জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী ছ’বছর ভোটে লড়তে পারবেন না সেই ব্যক্তি। কিন্তু জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ এবং ৯ নম্বর ধারা পরিবর্তন করে শাস্তির সময়সীমা যাবজ্জীবন করার আর্জি জানান ওই আইনজীবী। কেন্দ্র বর্তমান আইন বহাল রাখার পক্ষে সওয়াল করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement