ফাইল ছবি
অবশেষে ফিরে আসতে চলেছে পাশ-ফেল প্রথা। তবে সব শ্রেণিতে নয়। শুধু পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে।
আজ শিক্ষায় অধিকার আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে বিলটি লোকসভায় পাশ করে কেন্দ্র। এর পর বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হলেই পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা চালু করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাতে চলে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। দক্ষিণের কিছু রাজ্য পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার বিপক্ষে হলেও, ওই বিল পাশ হলে পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে চলেছে পাশ-ফেল প্রথা। তবে সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের ক্ষেত্রে পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত বিল পাশ হওয়ার পরে নেবে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও পাশ-ফেল নেই। কিন্তু ওই ব্যবস্থা চালু হওয়ার চার বছরের মাথায় ফের পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হয় ২২টি রাজ্য। আজ লোকসভায় বিলটি পেশ করতে গিয়ে প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘চার বছরের মাথায় দু’টি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। প্রথমত, শিক্ষার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। সমীক্ষায় দেখা যায় অষ্টম শ্রেণির ছেলে পঞ্চম শ্রেণির অঙ্ক পারছে না। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তৃতীয় শ্রেণির প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই অবস্থা হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষক, ছাত্র, স্কুল, এমনকী অভিভাবক, কারও কোনও জবাবদিহি দেওয়ার দায় নেই। সকলেই দায় এড়াচ্ছেন।’’ চিত্রটি পাল্টাতে তৎপর হয় সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পরে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার পিছনে সম্মতি দেয় ২৫টি রাজ্য। জাভড়েকর বলেন, ‘‘কাউকে আটকাতে নয়, পড়াশোনার মান উন্নতিতে ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ আজ লোকসভায় ওই বিলের সমর্থন করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হবে মার্চে। ফেল করলে দু’মাস পরে মে মাসে ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। পরপর দু’টি পরীক্ষায় যদি কেউ ফেল করে তখন তাকে একই ক্লাসে রেখে দেওয়া হবে। তবে তামিলনাড়ু, কেরল বা মহারাষ্ট্র পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার বিপক্ষে রায় দেয়। তা দেখে বিষয়টি বাধ্যতামূলক না করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জাভড়েকর বলেন, ‘‘নতুন বিলে রাজ্যগুলির হাতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে তারা নিজেদের রাজ্যে পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনতে চায় কিনা। এ নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলির উপর কিছু চাপিয়ে দেবে না।’’