—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী সরকার আর রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চাইছে না।
আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র আর্জি জানিয়েছে, মঙ্গলবার যেন রাফাল মামলার পূর্বনির্ধারিত শুনানি না হয়। চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের আর্জি এর আগে সুপ্রিম কোর্টই খারিজ করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর যুদ্ধবিমান কেনার দর কষাকষিতে নাক গলিয়েছিল বলে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জমা পড়েছে কোর্টে। সরকারের জন্য বিপদঘন্টি বাজিয়ে ওই সব নতুন নথি বিবেচনা করতেও রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার পরে ফের কংগ্রেসের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় মোদী সরকারকে।
সেই মামলারই শুনানি মঙ্গলবার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ কেন্দ্র শুনানি স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়ে সব পক্ষকে চিঠি দিতে চেয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তার অনুমতিও দিয়েছে। মঙ্গলবার কোর্ট যদি দু’সপ্তাহের জন্যও শুনানি স্থগিত রাখার অনুমতি দেয়, তা হলে অন্তত লোকসভা ভোটের মধ্যে আর রাফাল নিয়ে শুনানি হবে না। কারণ ১০ মে থেকে সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শুরু হবে।
নতুন নথি খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্ট রাজি হওয়ার পরেই রাহুল গাঁধী ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলে নতুন করে স্লোগান তুলেছিলেন। তা নিয়ে বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিয়েছে যে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। রাহুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও করেন মীনাক্ষি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আজ কংগ্রেস সভাপতি ফের সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে জানান, শীর্ষ আদালতকে রাজনৈতিক বিতর্কে টেনে আনার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, লেখি এ নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা করে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। রাহুল এর আগেও দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু লেখির আইনজীবী মুকুল রোহতগি অভিযোগ তুলেছিলেন, রাহুল দুঃখপ্রকাশ করলেও সুপ্রিম কোর্টের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছেন না। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত।