Chattisgarh

Police: ফের সংঘাতে দুই রাজ্যের পুলিশ

মাস দুয়েক আগেই বিজেপি নেতা তেজিন্দর বগ্গাকে গ্রেফতার করেছিল আপ-শাসিত পঞ্জাবের পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২ ০৭:৩৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

আবারও সংঘাতে জড়াল দুই রাজ্যের পুলিশের।

Advertisement

মাস দুয়েক আগেই বিজেপি নেতা তেজিন্দর বগ্গাকে গ্রেফতার করেছিল আপ-শাসিত পঞ্জাবের পুলিশ। কিন্তু হরিয়ানায় ঢোকার পরেই গাড়ি আটকে বগ্গাকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি-শাসিত ওই রাজ্যের পুলিশ। আজ কার্যত তারই পুনরাবৃত্তি হল উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে। রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিয়ো বিকৃত করে চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় কংগ্রেস-শাসিত ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ রঞ্জনকে তুলে নিয়ে যেতে এসেছে শুনেই তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে যায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। দু’রাজ্যের পুলিশের মধ্যে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি বাধে। শেষে নয়ডা পুলিশ রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অজ্ঞাত কোনও জায়গায় নিয়ে চলে যায়।

রঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত সপ্তাহে তিনি রাহুল গান্ধীর নামে একটি ভুয়ো ভিডিয়ো পরিবেশন করেছেন। তাতে দাবি করা হয়েছিল, রাহুল উদয়পুরে কানহাইয়া লাল হত্যাকাণ্ডে দোষীদের ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলছেন। প্রকৃতপক্ষে রাহুল কেরলে তাঁর অফিস ভাঙচুরে অভিযুক্ত এসএফআই কর্মীদের প্রসঙ্গে ওই কথা বলেছিলেন। এই ভুয়ো খবরের জেরে দেবেন্দ্র যাদব নামে ছত্তীসগঢ়ের এক ব্যক্তি রঞ্জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার তদন্তেই আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ আজ ভোট ৬টা নাগাদ গাজ়িয়াবাদে রঞ্জনের আবাসনে পৌঁছয়।

Advertisement

পুলিশ আসতেই রঞ্জন টুইট করেন, ‘‘ছত্তীসগঢ় পুলিশ আমায় গ্রেফতার করার জন্য বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।’’ স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়ে এ ভাবে গ্রেফতারির আইন আছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। জবাবে রায়পুর পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশ নিয়েই রঞ্জনকে গ্রেফতার করতে গিয়েছে পুলিশ। এর জন্য স্থানীয় পুলিশকে জানানোর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু রঞ্জনের টুইটের কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেখানে চলে আসে গাজ়িয়াবাদ পুলিশ। তাদের বাধায় ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ রঞ্জনকে আর নিয়ে যেতে পারেনি। এর কিছু পরে ছত্তীসগঢ় পুলিশের দলটির সামনে দিয়েই রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে চলে যায় নয়ডা পুলিশ।

অনেকের মতে, সমন্বয়ের এই অভাবেই স্পষ্ট, রাজনৈতিক শত্রুতার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশবাহিনীর মধ্যে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে ছত্তীসগঢ় পুলিশকে আটকেছে যোগী-রাজ্যের পুলিশ। শাসক দলের নেতারা কী ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে ওই গ্রেফতারি আটকাতে চেষ্টা করছেন, তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।’’ আবার বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মন্তব্য, ‘‘ছত্তীসগঢ়সরকার তাদের পুলিশকে ভুল ভাবে ব্যবহার করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন