লকআপেই ফোঁটা পড়ল ডনের কপালে

ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, দাউদের দুয়ারে পড়ল কাঁটা! সিবিআই লকআপে বন্দি ছোটা রাজনকে ভাইফোঁটা দিতে এসে এমনটাই কি বলে এলেন দুই বোন-সুনীতা আর মালিনী?

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:১৩
Share:

ছোটা রাজন

ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, দাউদের দুয়ারে পড়ল কাঁটা!

Advertisement

সিবিআই লকআপে বন্দি ছোটা রাজনকে ভাইফোঁটা দিতে এসে এমনটাই কি বলে এলেন দুই বোন-সুনীতা আর মালিনী?

না বলার কোনও কারণ নেই। সরকারি ভাবে সিবিআই ছোটা রাজনকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করা হলেও বাস্তবে নাকি দাউদ ইব্রাহিমের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতেই আত্মসমর্পণ করেছেন ছোটা রাজন। মাঝে কেটেছে ২৭টা বছর! ভাইফোঁটা তো দূর, দুই বোন চোখের দেখাটাও দেখতে পাননি ভাইকে। সেই ভাই এখন ভারতে। হোক সিবিআই হেফাজতে। কিন্তু নাগালের মধ্যে তো! ভাইফোঁটার দিন বোনেদের মন মানবে কেন!

Advertisement

আদালতের দ্বারস্থ হন মালিনী শকপাল ও সুনীতা চহ্বাণ। একটাই আর্জি— তাঁরা এমন কিছু করবেন না যাতে তদন্তের কোনও ক্ষতি হয়। শুধু ভাইকে আশীর্বাদ করেই চলে আসবেন। আবেদন শুনতে আজ সকালে বিশেষ আদালত বসে সিবিআই বিচারপতি বিনোদ কুমারের বাড়িতে। দুই বোনের আইনজীবী রাজীব জয় জানান, আদালত শুনানিতে জানিয়েছে, সুরক্ষার দিকটি মাথায় রেখেই তদন্তকারী অফিসার যেন এই আবেদন বিবেচনা করে দেখেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণ জানার পর থেকেই দিনভর আশা-নিরাশায় দুলছিলেন দুই বোন। সূত্রের খবর, বেলা চারটে নাগাদ ইতিবাচক বার্তা আসে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। তার পর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুই বোন এসে পৌঁছন সিবিআইয়ের সদর দফতরে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের রাজনের কাছে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের আইনজীবী ও রাজনের এক বোনঝি। দুই বোনের পরনেই ছিল ঘিয়ে রঙের শাড়ি। বড় বোন মালিনী পায়ের সমস্যায় সামান্য খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। ছোট বোন সুনীতার সাহায্যে ধীরে ধীরে লিফটের কোণায় সেঁধিয়ে গেলেন তিনি।

‘‘কী নিয়ে যাচ্ছেন ভাইয়ের জন্য?’’ জানতে চাওয়া হয়েছিল বোনেদের কাছে। মুচকি হাসলেন দু’বোনই। হাত ফাঁকা! নিরাপত্তার জন্য কিছু নিয়ে যাওয়া বারণ যে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন