ভোট কবে বলবেন মোদীই, কটাক্ষ চিদম্বরমের

কংগ্রেসের নিরন্তর অভিযোগের মুখে দেশের আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন, গত বারেও গুজরাতের ভোট হিমাচলের তুলনায় অনেক পরে হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:২১
Share:

হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ আজ মনোনয়ন পেশ করে ফেললেন। কিন্তু আর এক রাজ্য গুজরাতে ভোট কবে ঘোষণা হবে, তার কোনও হদিস নেই। তা নিয়েই আজ নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম।

Advertisement

যে দিন কমিশন শুধু হিমাচলের ভোট ঘোষণা করে ক্ষান্ত হল, সে দিনই কংগ্রেস তেড়েফুঁড়ে বলেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের চাপেই এই সিদ্ধান্ত। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় মোদী যখন গুজরাতে গিয়েছিলেন, টুইটারে রাহুল গাঁধী কটাক্ষ করেছিলেন, এ বারে ফের মিথ্যার ফুলঝুরি হবে। নরেন্দ্র মোদী ফের গুজরাতে যাচ্ছেন ২২ অক্টোবর। তার আগে ভোট ঘোষণার সম্ভাবনাও কম। তাই চিদম্বরম আজ একাধারে কমিশন ও মোদীকে একহাত নিয়ে বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভা শেষ হলে ভোটের দিন ধার্য করার অধিকার তাঁকেই দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গুজরাত সরকার যাবতীয় ছাড় ও জনপ্রিয় ঘোষণা করার পরেই ভোটের দিন স্থির হবে।’’

কংগ্রেসের নিরন্তর অভিযোগের মুখে দেশের আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন, গত বারেও গুজরাতের ভোট হিমাচলের তুলনায় অনেক পরে হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, পরে হলেও তখন দুই রাজ্যের ভোট ঘোষণা একই সঙ্গে হয়েছিল। আর ভোটের ফল ঘোষণাও হয়েছিল একই দিনে। কংগ্রেসের দাবি, এ বারেও এই দুই রাজ্যে ভোটের ফল ঘোষণা একই দিনে হবে। কিন্তু গুজরাত সরকারের তরফে জনপ্রিয় কিছু ঘোষণার জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল ভোট ঘোষণার দিন, যাতে আদর্শ আচরণবিধি চালু না হয়ে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: কেদার-প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে রাজনীতি

কংগ্রেসের নেতা আর পি এন সিংহ আজ বলেন, ‘‘কোনও যুক্তিতেই গুজরাতের ভোটের দিন ঘোষণা পিছনো সঠিক বলা যায় না। যদি বলা হয়, উৎসবের কারণে দিন ঘোষণা হল না, সেটি হিমাচলের জন্যও প্রযোজ্য।’’

বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে দেখে আজ আসরে নামে বিজেপি। আজ গুজরাতি নববর্ষে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণি। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস আসলে বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। সে কারণেই চিদম্বরম এমন মন্তব্য করছেন। ভারতের গণতন্ত্রে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে এমন মন্তব্য আদৌ শোভনীয় নয়।’’

বিজেপির মতে, কংগ্রেস হয়তো তাদের জমানায় কমিশনের উপর এমন চাপ দিয়ে কাজ করানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই তারা মনে করছে, সকলেই সেই পথেই হাঁটছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কখনওই খাটো করা হয় না। এটা কংগ্রেসেরই রীতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন