দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
দেশে যে ভোটার তালিকার ‘শুদ্ধিকরণ’ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা ভারতের গণতন্ত্রের জন্য মাইলফলক হতে চলেছে। সকলে এর জন্য একদিন গর্বিত বোধ করবেন। আইআইটি কানপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনটাই জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তাঁর মতে, বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া সারা বিশ্বের বৃহত্তম ‘শুদ্ধিকরণ’। আগামী দিনে দেশের বাকি অংশেও তা সঞ্চারিত হবে।
জ্ঞানেশ আইআইটি কানপুরের প্রাক্তন ছাত্র। রবিবার সেখানকার একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন। জানান, বিহারের পর ১২টি রাজ্যের ৫১ কোটি ভোটারের মধ্যে যখন শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার ব্যাপ্তি ঘটবে, তখন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। জ্ঞানেশ বলেন, ‘‘শুধু বিহারেই বিশ্বের বৃহত্তম ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ১২টি রাজ্যের ৫১ কোটি ভোটারের মধ্যে তা ব্যাপ্ত হলে নির্বাচন কমিশন এবং গোটা দেশের জন্য সেটা একটা ঐতিহাসিক সাফল্য হয়ে দাঁড়াবে। গোটা দেশে যখন এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, মানুষ শুধু কমিশনের জন্য নয়, ভারতের গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য গর্বিত হবেন।’’
বিহারে আগামী ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর দু’দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর। তার আগে সে রাজ্যের ভোটার তালিকার সংশোধন সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ লক্ষের বেশি নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কমিশন জানিয়েছে, মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, যাঁরা অনুপ্রবেশকারী, অর্থাৎ, বাইরে থেকে এসে বিহারের তালিকায় যাঁরা ঢুকে প়ড়েছিলেন, তাঁদের নামও বাদ দেওয়া হয়েছে। বিহারে ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কমিশন ১২টি রাজ্যে এসআইআর করার কথা ঘোষণা করে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা এবং পুদুচেরীও রয়েছে। এই দুই রাজ্য এবং এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২০২৬ সালে ভোট রয়েছে।
১২টি রাজ্যে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসআইআর সম্পন্ন করতে চায় কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে। তার আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার দাবি করেছেন, এসআইআর-এর ফলে বিহারের ভোটার তালিকা এখন শুদ্ধ। ফলে সেখানকার নির্বাচন স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং সারল্যের নজির তৈরি করবে বলে তাঁর আশা। অন্যান্য দেশের গণতন্ত্রেও এই প্রক্রিয়া উদাহরণ হয়ে থেকে যাবে।