শুধু দলের ভার চান না পনীররা, চুপ পলানীও

সরকার ও দলের শীর্ষে কে বা কারা থাকবেন, সেই প্রশ্নে আটকে রয়েছে এডিএমকের দুই শিবিরের সংযুক্তিকরণ। মুখ্যমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক— দু’টো পদই চাইছে পনীরসেলভম শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৯
Share:

বিদায়: গাড়ি থেকে লাল বাতি খুলে নিচ্ছেন পলানীস্বামী। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই।

সরকার ও দলের শীর্ষে কে বা কারা থাকবেন, সেই প্রশ্নে আটকে রয়েছে এডিএমকের দুই শিবিরের সংযুক্তিকরণ।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক— দু’টো পদই চাইছে পনীরসেলভম শিবির। কিন্তু এত সহজে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নন পলানীস্বামীরা। সেই শিবিরের অন্যতম প্রতিনিধি এম থাম্বিদুরাইয়ের কথায়, অধিকাংশ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সুতরাং তাঁর ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। পলানীকে মুখ্যমন্ত্রী রেখে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ অবশ্য পনীরসেলভমকে ছেড়ে দিতে আপত্তি নেই এই গোষ্ঠীর। কিন্তু এই প্রস্তাবে মত নেই পনীর শিবিরের।

দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে, তা ঠিক করতে আজ সকালে বৈঠকে বসেছিলেন পনীর-ঘনিষ্ঠ নেতারা। যা চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। বৈঠকের শেষে পনীর গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পলানী শিবিরের কাছে তিনটি প্রস্তাব রাখা হয়। পনীর শিবিরের বর্ষীয়ান নেতা কে পি মুনুস্বামীর কথায়, ওই তিনটি শর্ত মেনে নেওয়ার পরেই দু’শিবিরের সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া সম্ভব।

Advertisement

তিনটি শর্তের মধ্যে প্রথম: শশিকলা ও তাঁর ভাইপো দিনকরণকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্তফা দিতে হবে। পনীর গোষ্ঠীর বক্তব্য, দিনকরণকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন পলানীস্বামীরা। কিন্তু এখনও দিনকরণ ইস্তফা দেননি। গোটাটাই আসলে শশিকলার স্বামী নটরাজের কৌশল বলে অভিযোগ মুনুস্বামীর। তাই দাবি করা

হয়েছে, শশিকলাদের যে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা লিখিত ভাবে স্বীকার করে নিতে হবেপলানী গোষ্ঠীকে।

দ্বিতীয়: প্রতীক চিহ্নের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে পলানী গোষ্ঠী যে আবেদন জানিয়েছে, তাতে শশিকলাকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেই আবেদনও প্রত্যাহার করতে হবে পলানী শিবিরকে।

তৃতীয়: জয়ললিতার চিকিৎসা ও মৃত্যুকে ঘিরে যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে তার সিবিআই তদন্ত করাতে হবে।

পলানী গোষ্ঠী সূত্রের খবর, এই তিনটি দাবি মেনে নিতে এই মুহূর্তে তাদের খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু এক ধাক্কায় মুখ্যমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নে আপত্তি রয়েছে। আর গত দু’দিনে এ নিয়ে পলানী একবারের জন্যও মুখ না খোলায় এ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটার কোনও লক্ষণ নেই। ফলে আটকে দু’শিবিরের মিশে যাওয়ার প্রক্রিয়াও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন