মণিপুরে হিন্দি ছবি চান ইবোবি

মণিপুরে হিন্দি ছবির প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ।জঙ্গি সংগঠনগুলির হুমকি ও সামাজিক সংগঠনগুলির মদতে মণিপুরে হিন্দি ছবির প্রদর্শন বন্ধ। ২০০০ সালের অক্টোবরে আরপিএফ হিন্দি ছবির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৫৬
Share:

মণিপুরে হিন্দি ছবির প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ।

Advertisement

জঙ্গি সংগঠনগুলির হুমকি ও সামাজিক সংগঠনগুলির মদতে মণিপুরে হিন্দি ছবির প্রদর্শন বন্ধ। ২০০০ সালের অক্টোবরে আরপিএফ হিন্দি ছবির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতীয় ছবির আগ্রাসন রুখতে সব প্রেক্ষাগৃহ, কেবল চ্যানেলে হিন্দি ছবি দেখানো বন্ধ হয়। পরে দফায় দফায় হাজার হাজার সিডি বাজেয়াপ্ত করে তারা। তখন থেকেই রাজ্যে কোথাও হিন্দি ছবি প্রদর্শন হয় না। খোলাখুলি বিক্রি হয় না সিডি। এ দিকে রাজ্যে পর্যাপ্ত মণিপুরি ছবি, সিরিয়াল, অনুষ্ঠান তৈরি হতো না। তাই দিনের অনেকটা সময় বন্ধই থাকত টেলিভিশন। কিন্তু গত দেড় দশকে শূন্যস্থান পূরণের তাগিদে ও রাজ্যের শিল্পীদের উদ্যোগে মণিপুরি ছবি অনেকটা এগিয়েছে। আবার সেই সঙ্গে ডিটিএইচ পরিষেবা, ইন্টারনেটের হাত ধরে হিন্দি ছবি ও গানের প্রচারও আটকানো যাচ্ছে না।

রাজ্যের অলিম্পিক ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার মেরি কমের জীবনযুদ্ধ নিয়ে তৈরি হিন্দি ছবি ‘মেরি কম’ সেটির পরিচালক, প্রযোজক, নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও রাজ্য সরকারের আবেদনের পরেও যথারীতি রাজ্যে মুক্তি পায়নি। মণিপুরের বিখ্যাত সিনেমা হল, ১৯৬১ সালে তৈরি ঊষা মুভিজের পুনর্নির্মাণের পর তার উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ হিন্দি ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, ‘‘সিনেমা শুধুই বিনোদন নয় তা সমাজ পরিবর্তন ও সংবাদ বহনেরও মাধ্যম। তাই কোনও নির্দিষ্ট ভাষার ছবির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। সেই সঙ্গে মণিপুরের ছবি যাতে বাইরের মানুষ বুঝতে পারেন, তার জন্য ছবিতে ইংরাজি সাবটাইটেল ব্যবহার করলে ভাল হয়।’’

Advertisement

রাজ্যের মেইতেই, বিষ্ণুপ্রিয়া, পাঙ্গাল ও অন্য উপজাতিদের সংস্কৃতি রক্ষা ও বিশ্বে প্রচারের জন্য ছবি তৈরি ও সংরক্ষণেও জোর দেন ইবোবি। তাঁর মতে, নবগঠিত মণিপুর সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পাঠ, গবেষণা ও সংরক্ষণে জোর দিতে হবে। রাজ্য ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে পরিচালক, সম্পাদক, অভিনতা ও অন্য ছাত্রদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা আন্তর্জাতিক মানের ছবি বানাতে পারেন। মণিপুরে একের পর এক সিনেমাহল বন্ধ হয়ে যাওয়ার দুঃখপ্রকাশ করেন ইবোবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন