Omar Abdullah

একদিন ফিরবেই রাজ্যের মর্যাদা, আশাবাদী ওমর

কাটরার মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাশে বসিয়েই জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টানলেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।

সাবির ইবন ইউসুফ

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ০৭:৩৪
Share:

ওমর আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।

কাটরার মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাশে বসিয়েই জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টানলেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।

শুক্রবার চেনাব রেল সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ভূস্বর্গে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন সেতুর উদ্বোধনের পাশাপাশি কাটরা-শ্রীনগর রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পথচলা শুরুর অনুষ্ঠানেও ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, পহেলগাম উপত্যকার সন্ত্রাসবাদী হানায় রক্তভেজা গত ২২ এপ্রিলের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীর সফরে এসেছেন মোদী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে তখন উপস্থিত খোদ প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় বলতে উঠে কাশ্মীরের হারানো রাজ্যের মর্যাদার প্রসঙ্গ টানেন ওমর। তবে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে চলা কেন্দ্রীয় সরকার অচিরেই ভূস্বর্গের পুরনো রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে, এ ব্যাপারেও আশাবাদী ওমর। ২০১৯ সালে অগস্ট মাসে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের সঙ্গেই জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আসছেন ওমর।

তবে এ দিন কাশ্মীরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘ভাগ্য হোক কিংবা নিয়তি, এই রাজ্যে রেল সংক্রান্ত কোনও অনুষ্ঠান আয়োজিত হলেই দেখেছি আমি এবং প্রধানমন্ত্রী এক মঞ্চে পাশাপাশি বসে রয়েছি। তা সে অনন্তনাগের রেল স্টেশন হোক, বানিহালের টানেল কিংবা ২০১৪ সালে কাটরার রেলস্টেশন উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। উন্নয়নের প্রতিটি মাইল ফলকে আমি শরিক থাকতে পেরেছি।’’ তিনি আরও জুড়েছেন, ‘‘এটা ঠিক যেন স্বপ্নপূরণের মতো। ব্রিটিশরা যা করে উঠতে পারেনি, তা আপনি (প্রধানমন্ত্রী) করে দেখিয়েছেন। কাশ্মীর উপত্যকা এখন সারা দেশের রেল পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত।’’

সেই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের রেল পরিকাঠামোর উন্নতিতে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকাকেও এ দিন স্মরণ করেন ওমর। তিনি বলেন, ‘‘এই রেল প্রজেক্টের কাজ যখন শুরু হয়েছিল, তখন আমার বয়স ছিল আট বছর। এখন আমার বয়র ৫৫। এতদিনে কাজটি সম্পূর্ণ হল। পুরো বিষয়টি সম্ভব হয়েছে, কারণ অটলজি এই প্রজেক্টের গুরুত্ব কতখানি,তা বুঝেছিলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন