Agartala

ছেলেধরা সন্দেহে আগরতলায় প্রহৃত যুবক

ঠিকাদারের কাছে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন আগরতলার বড়দোয়ালী এলাকার অঞ্জন দে নামে এক যুবক। অঞ্জন দে জানান, স্কুলে নির্মাণের খবর পেয়ে ঠিকাদারের কাছে কাজের সন্ধানে যান। স্কুলের সামনেই অভিভাবকরা তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ২৩:২৩
Share:

আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাইকে। নিজস্ব চিত্র।

ছেলেধরা সন্দেহে আগরতলার একটি স্কুলের সামনেই গণপিটুনি দেওয়া হল যুবককে।

Advertisement

ঠিকাদারের কাছে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন আগরতলার বড়দোয়ালী এলাকার অঞ্জন দে নামে এই যুবক। অঞ্জন দে জানান, এলাকারই স্কুলে নির্মাণের কাজ হচ্ছে খবর পেয়েছিলেন তিনি। এরপরই ঠিকাদারের কাছে কাজের সন্ধানে যান। তখন স্কুলের সামনেই অভিভাবকরা তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করে এবং তাঁর মোটর বাইকটি পুড়িয়ে দেয়।

ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস জওয়ানরা উদ্ধার করতে ছুটে এসেছিলেন অঞ্জনকে। তাঁর কথায়, জওয়ানদের সামনেই লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এদিকে অভিভাবকদের দাবি, ওই যুবকের হাতে ছুরি ছিল। স্কুলের এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাঁকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি, কেন্দ্রের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট​

জেলার এস পি অজিত প্রতাপ সিংহ বলেন, ওই যুবক মাদক বিক্রেতা। সেই কারণেই পুলিশ দেখে পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন তাঁকে স্থানীয় লোকজনরা ধরে ফেলেন। অঞ্জনের দাবি, যখন তিনি স্কুল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আচমকাই একদল লোকজন তাঁর দিকে দৌড়ে আসছে দেখে তিনিও দৌড়তে থাকেন। মোটর বাইকটি ফেলে রেখেই চম্পট দেন তিনি। পুলিশের সামনেই তাঁকে মারধর করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানান ওই যুবক।

ত্রিপুরাজুড়ে এখনও ছেলেধরা গুজবের দাপট অব্যাহত। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই চার ছাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ‘ছেলেধরা’ গুজব চলছেই, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

জনসনের পাউডার থেকে ক্যানসার, ৪৭০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন