Custody Battle

সন্তান কার হেফাজতে থাকবে, তা স্থির করার সময় শিশুর ইচ্ছাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে! জানাল আদালত

প্রৌঢ়ের দাবি, তাঁদের পুত্রবধূ সন্তানকে ভুল বুঝিয়ে মানসিক ভাবে প্রভাবিত করেছেন। সেই কারণেই নাতি তাঁদের সঙ্গে থাকতে চায়নি। অন্য দিকে শিশুর মায়ের দাবি, আদালতে দু’দফায় শিশুর কাউন্সেলিং হয়েছে। দু’বারই তাঁর সন্তান জানিয়েছে, সে মায়ের সঙ্গে থাকতে চায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৯
Share:

সন্তান কার হেফাজতে থাকবে, তা স্থির করার সময় শিশুর ইচ্ছাকেই গুরুত্ব দিতে হবে। জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সন্তান কার সঙ্গে থাকবে, কাকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া যাবে— এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে ওই শিশুর ইচ্ছাকে সব কিছুর আগে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোনও প্রভাব পড়বে কি না, তা-ও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট।

Advertisement

সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা এক প্রৌঢ় তাঁর নাতির হেফাজত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই শিশু বর্তমানে তাঁর মায়ের হেফাজতে থাকে। প্রৌঢ়ের আর্জি খারিজ করে হাই কোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্র মৈথানি এবং বিচারপতি অলোক মহারার বেঞ্চ জানিয়েছে, শিশু তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকবে।

এর আগে উত্তরাখণ্ডের এক পারিবারিক আদালতে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। সেখানেও সন্তানের মায়ের পক্ষেই রায় দেয় আদালত। ২০২৩ সালে দেহরাদূনের ওই পারিবারিক আদালতে প্রৌঢ়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। তখন তিনি ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারী প্রৌঢ়ের দাবি, ওই সময়ে তাঁর নাতির বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। শু‌ধুমাত্র ওই ছোট শিশুর কথা শুনেই রায় দিয়েছে পারিবারিক আদালত।

Advertisement

প্রৌঢ়ের দাবি, তাঁদের পুত্রবধূ সন্তানকে ভুল বুঝিয়ে মানসিক ভাবে প্রভাবিত করেছেন। সেই কারণেই নাতি তাঁদের সঙ্গে থাকতে চায়নি। অন্য দিকে শিশুর মায়ের দাবি, আদালতে দু’দফায় শিশুর কাউন্সেলিং হয়েছে। দু’বারই তাঁর সন্তান জানিয়েছে, সে মায়ের সঙ্গে থাকতে চায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, কাউন্সেলিং রিপোর্টে ওই শিশু বলেছে, “মা আমার ভাল যত্ন নেন। আমি তাঁর সঙ্গে খুশি আছি। আমি ঠাকুরদার সঙ্গে দেখা করতে চাই না।”

এ অবস্থায় পারিবারিক আদালত জানিয়েছিল, শিশুটি তার ঠাকুরদার সঙ্গে দেখা করতেও দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তাই প্রৌঢ়কে তাঁর নাতির সঙ্গে জোর করে দেখা করতে দিলে, তা শিশুর জন্য ভাল হবে না। পারিবারিক আদালতের ওই সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। সম্প্রতি ওই প্রৌঢ়ের আর্জি খারিজ করে হাই কোর্ট জানিয়েছে, শিশুর মানসিক সুস্থতা এবং শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও শিশুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারও সঙ্গে রাখা বা দেখা করানো ঠিক নয়। এ অবস্থায় হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক না-হওয়া পর্যন্ত ওই শিশু তার মায়ের সঙ্গেই থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement