Zompelri Ridge

ডোকলাম মালভূমিতে ফের চিনা তৎপরতা, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

বছর তিনেক আগে জোমপেলরি শৈলশিরার দখল নিয়েই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ১৯:১০
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই ফের মাথাচাড়া দিল ডোকলাম ক্ষত। ডোকলাম মালভূমির কাছে ভূটানের জমি জবরদখল করে চিন যে একটা গ্রাম তৈরি করেছে তা জানা গিয়েছিল আগেই। এ বার স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল ওই গ্রামে চিনের তৈরি করা রাস্তার ছবিও। বিশেষজ্ঞদের মত, ওই রাস্তার অভিমুখ ভারতীয় সীমান্তের দিকেই। ফলে ৩ বছর আগে ‘ঘুমিয়ে পড়া’ ডোকলাম ইস্যু এখন ভাবিয়ে তুলেছে নয়াদিল্লিকে।

Advertisement

ভুটান সীমান্তের প্রায় ৯ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে ওই রাস্তা তৈরির ফলে বিশেষ কী সুবিধা পাবে চিন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে জোমপেলরি শৈলশিরায় সহজেই পৌঁছতে পারবে চিনের সেনাবাহিনী। ২০১৭ সালে ওই শৈলশিরা দখল করতেই ভারত বাধা দিয়েছিল চিনা বাহিনীকে। উপগ্রহের পাঠানো ছবি দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডোকা লা-য় ভারতীয় সেনা-পোস্টের কাছাকাছি থাকা ওই রাস্তা এখন শৈলশিরা পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়েছে চিন।

বছর তিনেক আগে সুদূর দক্ষিণে অবস্থিত জোমপেলরি শৈলশিরার দখল নিয়েই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। ভৌগোলিক দিক থেকে দারুণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই শৈলশিরা। কারণ ওই এলাকার দখল রাখতে পারলে শিলিগুড়ি করিডোর বা ‘চিকেন’স নেক’-এর উপরে সহজেই নজরদারি চালানো যাবে। কিন্তু সে বার ভারতের বাধায় চিন রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। তবে এ বার ভিন্ন পথে রাস্তা তৈরি করেছে বেজিং। ৩ বছর আগে ডোকলাম মালভূমির যে অঞ্চলে দুই দেশ সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে, তোর্সা নদীর তীর বরাবর তৈরি হয়েছে এই নয়া রাস্তা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডাকে প্রশ্রয় নয়’, চমস্কি প্রশ্নে বললেন মুম্বই সাহিত্য উৎসবের কর্তা

আরও পড়ুন: চালকের নামে বেআইনি জমি! সস্ত্রীক গ্রেফতার হতে পারেন বিজেপি সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত পণ্ডা

চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি চ্যানেল সিজিটিএন-এর সিনিয়র প্রযোজক শেন শিওয়েই গত বৃহস্পতিবার ভুটান সীমান্তের মধ্যে গ্রামটির বেশ কিছু ছবি টুইট করেন। সেই সঙ্গে শেন লেখেন, ‘নতুন পাংদা গ্রামে এখন আমাদের স্থায়ী বাসিন্দারা রয়েছেন। ইয়াদং কাউন্টির ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, উপত্যকা বরাবর এই গ্রাম। মানচিত্রে তার অবস্থানটা ভাল বোঝা যাবে’। পোস্টে মানচিত্র দিয়ে গ্রামের অবস্থান চিহ্নিতও করে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে সেই পোস্ট মুছে দেন তিনি। এর পরেই প্রকাশ্যে এল ওই এলাকার স্যাটেলাইট ছবি।

ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেতসপ নামগিয়েল অবশ্য চিনের এই দাবি আগেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘ভুটানের মধ্যে চিনের কোনও গ্রাম নেই।’’ তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, লাদাখ এবং ডোকলাম কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভারতীয় সীমান্তে নানা জায়গায় ‘ক্ষত’ তৈরি করে আসলে নয়াদিল্লিকে চাপে রাখতে চাইছে বেজিং।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন