Rare Earth Minerals

ভারতকে আবার দুর্লভ খনিজ দিতে শুরু করল চিন! বন্ধ ছিল ৬ মাস, নতুন ভাবে রফতানি শুরুর আগে অবশ্য চাপিয়ে দিল শর্তও

দুর্লভ বা বিরল খনিজ রফতানিতে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল চিন। তার পর থেকেই আমেরিকার সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়। তার পর থেকেই বিশ্ব বাজারে বিরল খনিজ রফতানির ব্যাপারে রাশ টেনেছিল বেজিং।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৩৮
Share:

(বাঁদিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিং (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

ছ’মাস পর আবার ভারতকে বিরল খনিজ রফতানি শুরু করল চিন। তবে দিল্লির উপর কড়া শর্ত চাপিয়েছে বেজিং। সেই শর্ত ভঙ্গ হলে আবার রফতানি বন্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা।

Advertisement

বিরল খনিজ রফতানিতে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল চিন। তার পর থেকেই আমেরিকার সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়। চিনের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পর সেই পরিস্থিতির বদল হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ট্রাম্পও দাবি করেন, বিরল খনিজ সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমেরিকায় বিরল খনিজ রফতানির ক্ষেত্রে আর বাধা থাকবে না বলে জানান ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে থাকা মার্কিন প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিরল খনিজ নিয়ে চিনের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি হয়েছে আমেরিকার। তবে তার পরেও ভারতের উপর আমেরিকা সংক্রান্ত শর্ত চাপিয়ে আবার বিরল খনিজ রফতানি শুরু করল চিন।

বিরল খনিজের দুনিয়ায় চিনের একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে বরাবর। আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশ চিন থেকে এই পণ্য কিনে থাকে। সম্প্রতি বেজিং দেশে দেশে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানিয়েছে, তারা বিরল খনিজ রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতি কার্যকর করতে চলেছে। চিনের অভিযোগ, তাদের পণ্য বিভিন্ন দেশ সামরিক খাতে কাজে লাগাচ্ছে। বিশ্ব শান্তির কথা ভেবে তাই তারা বিরল খনিজের রফতানিতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

সাধারণত বৈদ্যুতিন যান, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির কাজে বিরল খনিজের চাহিদা তুঙ্গে। সংবাদমাধ্যম ইকনমিক টাইমস চিনের এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ভারতের চারটি কোম্পানিকে বিরল খনিজ সরবরাহ করবে চিন। সেই চার সংস্থা হল— হিতাচি, কন্টিনেন্টাল, জে-শিন এবং ডিই ডায়মন্ডস। তবে শর্ত হিসাবে বলা হয়েছে, চিন থেকে আমদানি করা বিরল খনিজ আমেরিকাকে রফতানি করা যাবে না। একই সঙ্গে সামরিক খাতেও ব্যবহার না-করার কথাই জানিয়েছে বেজিং।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিরল খনিজ রফতানির অনুমতি দেওয়ার আগে ভারতীয় সংস্থাগুলির থেকে ‘এন্ড-ইউজ়ার সার্টিফিকেট’ বা শেষ ব্যবহারকারীর শংসাপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিল। সেই শংসাপত্র খতিয়ে দেখার পরই রফতানিতে অনুমতি দেয় বেজিং। প্রথমার্ধে চারটি সংস্থার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে এখনও ৫০টির বেশি আবেদন জমা রয়েছে, যাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। আশা করা হচ্ছে, ধাপে ধাপে সেই সব সংস্থার জন্য ছাড়পত্র দেবে বেজিং।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement