চিনা আগ্রাসন যে বাড়ছে দেশের উত্তর সীমান্তে, তা স্পষ্টই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। ছবি: পিটিআই।
সীমান্তে ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে চিন। জানালেন খোদ সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দেশের উত্তর সীমান্তে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। ভারতকে দুর্বল ভাবলে ভুল হবে— প্রকারান্তরে চিনকে এমন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন তিনি।
‘‘উত্তর সীমান্তের দিকে নজর ঘোরানোর সময় হয়েছে ভারতের।’’ শুক্রবার এ কথা বলেছেন জেনারেল রাওয়াত। চিনা আগ্রাসনের কারণেই যে উত্তর সীমান্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা সেনাপ্রধান স্পষ্টই জানান। তবে সে আগ্রাসনের মোকাবিলায় যে ভারত প্রস্তুত, সে বিষয়েও তিনি আশ্বস্ত করেছেন। জেনারেল রাওয়াত বলেছেন, ‘‘চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে দেশ সক্ষম। চিন একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র, কিন্তু আমরা কোনও দুর্বল দেশ নই।’’
ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তের ডোকলামে বেনজির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ২০১৭-র মাঝামাঝি সময়ে। রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে ঘনিয়ে ওঠা বিবাদের জেরে দু’দেশের বাহিনী টানা ৭৩ দিন পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সঙ্কটের নিরসনের পরে ছ’মাসও কাটেনি, ফের রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) পেরিয়ে অরুণাচলের ভিতরে ঢুকে রাস্তা বানাতে শুরু করেছিল চিন। ভারতীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে চিনা কনস্ট্রাকশন পার্টি ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এর মাঝেও একাধিক বার সীমান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে— কখনও লাদাখে, কখনও উত্তরাখণ্ডে।
আরও পড়ুন:
মুম্বইতে জমি চাইবেন না, পাক সীমান্তে যান, নৌসেনাকে গডকড়ী!
নতুন বছরে ইসরোর উপহার, সফল উত্ক্ষেপণ ১০০তম উপগ্রহের
ভারতের উপর চাপ বাড়ানোর জন্যই সীমান্তে এ ধরনের কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে চিন, ইঙ্গিত সেনাপ্রধানের। তবে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের এলাকায় কোনও অনুপ্রবেশ আমরা বরদাস্ত করব না।...কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে আমাদের বাহিনী জবাব দিতে প্রস্তুত।’’