চিনা নৌবাহিনীর নয়া শাখা, চিন্তায় দিল্লি

নিজেদের আঞ্চলিক জলসীমার বাইরেও কিছু সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করা হবে এই নতুন উদ্যোগে। এ ছাড়া, বাড়তি সাবমেরিন, ছোট রণতরী (ফ্রিগেট) এবং ডেস্ট্রয়ার রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডোকলাম সংঘাতের পরবর্তী পর্যায়ে সমানে বেজিংয়ের মন রেখে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছে দিল্লি। সম্প্রতি তাদের অনুরোধে তাইওয়ানগামী উড়ানের নাম পরিবর্তন করে ‘চাইনিজ় তাইপেই’ উড়ান করা হয়েছে। কিন্তু এত করেও ড্রাগনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা কমছে না। সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে উদ্বেগ বরং বাড়ছে।

Advertisement

গোপন রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য নিজেদের নৌবাহিনীর একটি বিশেষ শাখা তৈরি করছে চিন। ‘ব্লু ওয়াটার নেভি’ নামের এই বিশেষ বাহিনী চিনের কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই করা হচ্ছে। নিজেদের আঞ্চলিক জলসীমার বাইরেও কিছু সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করা হবে এই নতুন উদ্যোগে। এ ছাড়া, বাড়তি সাবমেরিন, ছোট রণতরী (ফ্রিগেট) এবং ডেস্ট্রয়ার রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে।

কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ২০১৭ সালে চিন বিশ্বের এক নম্বর আমদানি এবং রফতানিকারক দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল দিয়ে চিনের বাণিজ্যও বেড়ে গিয়েছে গত কয়েক বছরে। আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চিনের বাণিজ্যের একটি বড় অংশই হয় এই জলপথে। এই সমুদ্রপথের দখলদারি নিয়ে ভবিষ্যতে সংঘাত আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বুড়ো’দের ছেঁটে ফেললেন রাহুল, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে নবীন মুখের সারি

পাকিস্তানের গদর বা শ্রীলঙ্কার হাম্মানতোতার সঙ্গে চিনের যোগাযোগ ক্রমশই বাড়ছে। এই মুহূর্তে গদরে চিনা সেনার উপস্থিতি না থাকলেও যে ভাবে সমুদ্রপথে নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে বেজিং, তাতে এই বন্দরগুলো কিছু দিনের মধ্যেই তাদের হাতে চলে যেতে পারে। অর্থনৈতিক ক্ষমতার ক্রমবৃদ্ধি এবং ওবর প্রকল্পের বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতেও ড্রাগনের দাপট বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে সাউথ ব্লক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন