অভ্যর্থনা: অরুণাচল থেকে শিলচর যাওয়ার পথে অসমের লীলাবাড়ি বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে স্বাগত জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল। ছবি: সরকারি সৌজন্যে।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অরুণাচল সফর নিয়ে ক্ষোভ জানাল চিন। বেজিং এ দিন নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, টানাপড়েনের মধ্যে ভারত যেন সীমান্ত পরিস্থিতিকে অযথা জটিল না করে তোলে।
ডোকলাম নিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি কেটে যেতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অরুণাচলে গিয়েছিলেন। সেই সফরকে নিয়ে যে ভাষায় আপত্তি তুলেছিল চিন, এ দিন তাদের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সেই ভাবেই কোবিন্দের সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট এবং সব সময়েই স্থির। এই অঞ্চলকে ভারতের বলে মনেই করে না চিন।’’
বেজিং সব সময়েই এই এলাকাকে দক্ষিণ তিব্বত হিসেবে দাবি জানিয়ে এসেছে। এ দিনও বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন কাং। জানিয়ে দেন, সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়ে যায়নি, তাই ভারতের উচ্চপর্যায়ের সরকারি পদাধিকারীরা অরুণাচল সফর করলে বেজিং-এর আপত্তি থাকবেই। নয়াদিল্লি যদিও চিনের এই সব দাবি এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের বক্তব্য, অরুণাচল এ দেশের অঙ্গ। তাই শুধু কোবিন্দ কেন, যে কোনও ভারতীয়ের সেখানে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: জোট করেও আবার জট, ক্ষোভ হার্দিকের
কূটনৈতিক স্তরে এই টানাপড়েনের মধ্যেই তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামা এ দিন দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছেন। তাঁর মতে, ডোকলামের মতো ‘ছোট ঘটনা’ ঘটতেই থাকবে। কিন্তু ভারত ও চিনের উচিত পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করা। দলাই লামা বলেন, ‘‘এটাই বাস্তবতা। সাধারণ বুদ্ধি খাটালেই বোঝা যাবে, ভারত ও চিনের পক্ষে একে অপরকে মেনে নেওয়া ছাড়া রাস্তা খোলা নেই।’’ সাত বছর পরে দু’দিনের জন্য ওডিশা সফরে এসেছেন দলাই লামা। সেখানে মায়নমারে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সেখানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগুরু। কিন্তু যে ভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর আক্রমণ চলছেস তার নিন্দা করেন দলাই লামা।