ইদে থামল না সংঘর্ষ, কাশ্মীরে নিহত তিন

নজিরবিহীন ভাবে ইদে জারি হয়েছিল কার্ফু। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বড় জমায়েত। কিন্তু তাতে হিংসা থামানো গেল না কাশ্মীরে। ইদের দিনও সকাল থেকেই শুরু হল বিক্ষোভ। বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে নিহত হলেন তিন জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ বছরের এক যুবকও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২৭
Share:

নজিরবিহীন ভাবে ইদে জারি হয়েছিল কার্ফু। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বড় জমায়েত। কিন্তু তাতে হিংসা থামানো গেল না কাশ্মীরে। ইদের দিনও সকাল থেকেই শুরু হল বিক্ষোভ। বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে নিহত হলেন তিন জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ বছরের এক যুবকও।

Advertisement

এর মধ্যেই প্রশাসনকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে পুঞ্চে রবিবার থেকে শুরু হওয়া জঙ্গি দমন অভিযান শেষ হয়েছে আজ। ওই এলাকার দু’টি বাড়িতে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছিল বাহিনীর। নির্মীয়মাণ এক সরকারি ভবনে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের শেষ করতেই দু’দিন সময় লেগেছে বলে দাবি পুলিশের। আজ ভবনের দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢোকে সেনা-পুলিশের বাহিনী। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা এক জঙ্গিকে শেষ করেন কম্যান্ডোরা। সেই সঙ্গে দক্ষিণ কাশ্মীরের চারটি জেলায় বিশেষ অভিযান শুরু করেছে সেনা। সেখানে সরকারের কর্তৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর।

তবে কূটনৈতিক ভাবে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে দিল্লি। এ দিনই ফের কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে খোঁচা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। নিউ ইয়র্কে শুরু হওয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়ে ঝড় তুলতে চাইছে তারা। আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার হাইকমিশনার এই প্রসঙ্গে মুখ খোলায় পাক কৌশল আংশিক ভাবে সফল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন