ভেঙে পড়েছে বাড়ি। শুক্রবার পিথোরাগড়ে। ছবি: পিটিআই।
তিন বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে আসছে বারবার। আজ ভোরে আর এক বারের জন্য ফিরে এল একই আতঙ্ক। তার জেরে বিপর্যস্ত রাজ্যের একটা বড় অংশ। প্রবল বৃষ্টি আর ধসের জেরে বিধ্বস্ত গ্রামের পর গ্রাম। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পিথোরাগড় ও চামোলি জেলা। ধস ও বৃষ্টি সংক্রান্ত দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। নিখোঁজ প্রায় ৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত পৌঁছনো যায়নি বহু এলাকাতেই। ফলে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে রাজ্যের একাধিক নদী। তার মধ্যে সব চেয়ে বিপজ্জনক
অবস্থা মন্দাকিনীর।
পিথোরাগড়ের সিংঘলি এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আজ ভোরে কান ফাটা আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় সকলের। মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নামার পরই নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে। সকালে দু’ঘণ্টার মধ্যে সিংঘলির ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় মোট ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্তত সাতটি গ্রামের অজস্র বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অন্য দিকে, পিথোরাগড়ে এখনই মৃতের সংখ্যা আট। চামোলিতে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। চামোলির সিরোন গ্রামে কাদা মাটির স্রোতে ভেসে গিয়েছেন দু’জন। ঘাট ব্লকের সিথেল গ্রামেও ভেসে গিয়েছেন এক জন। জেলায় জেলায় ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে রয়েছেন বহু। খোঁজ নেই অসংখ্য মানুষের। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁদের সেখান থেকে বার করা সম্ভব হচ্ছে না।
দেহরাদূনের আবহাওয়া দফতর অবশ্য কাল রাতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, কোথাও কোথাও হতে পারে মেঘভাঙা বৃষ্টিও। তা-এ প্রশাসন কেন আগে থেকে সতর্কতা নেয়নি, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ২০১৩ সালের মধ্য জুনে এই মেঘভাঙা বৃষ্টিতেই তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা উত্তরাখণ্ড। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের।