যোগ শিবিরে সর্বাও

মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর প্রথম বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র মাজুলিতে গিয়ে বিশ্ব যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন এক সময়ের ব্যায়ামবীর, ভারোত্তলক সর্বানন্দ সোনোয়াল। সঙ্গে ছিলেন অর্থ-শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৬ ০৯:০০
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর প্রথম বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র মাজুলিতে গিয়ে বিশ্ব যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন এক সময়ের ব্যায়ামবীর, ভারোত্তলক সর্বানন্দ সোনোয়াল। সঙ্গে ছিলেন অর্থ-শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

Advertisement

এ দিন দরিয়াঘাটের কাছে মাজুলি কলেজ মাঠে সপ্তাহব্যাপী যোগাসন শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যোগাসন শুধু সুস্থ শরীর গড়ে না। সুন্দর মানসিকতা, শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, চরিত্র গঠনও করে। রাজ্যকে উন্নত করে গড়ে তুলতে রাজ্যবাসীর মধ্যে এই গুণগুলি থাকা দরকার। শ্রীমন্ত শঙ্করদেব, মাধবদেবও যোগাসনের উপকারিতা প্রচার করেছিলেন।’’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, অসমে ৩০০-র বেশি ব্লকে যোগ উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার। এ দিন যোগাসন শিবিরে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী ছাড়াও পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারাও অংশ নেন। সোনোয়াল ম্যাট্রিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করা ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা জানান। শ্রদ্ধা জানান সত্রাধিকারদের।

রাজ্য পুলিশের ডিজি মুকেশ সহায়ের নেতৃত্বে পুলিশকর্তারাও যোগসন করেন। অসম ও শিলং-সহ সেনাবাহিনীর সব শিবিরে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয়। রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য বলেন, ‘‘যোগাসন কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের অঙ্গ নয়। এ হল শারীরবিজ্ঞানের অঙ্গ। দেহ-মন সুস্থ রাখার প্রাকৃতিক উপায়।’’ কিন্তু মিজোরামের গির্জাগুলি যোগ দিবসকে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে ভাবতে নারাজ। যাজকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন— যোগ যেহেতু হিন্দু ধর্মের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে, তাই খ্রিষ্টান রাজ্য মিজোরামে যোগ দিবস পালন করা উচিত নয়। অনেকের মতেই, এ হল পরোক্ষে হিন্দু ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। মিজোরামের ১৫টি বড় গির্জার যৌথ মঞ্চের সম্পাদক রেভারেন্ড আর লালরিনসাঙ্গা বলেন, ‘‘যোগাসন বাইবেলের শিক্ষার সঙ্গে খাপ খায় না। তাই রাজ্যে যোগ দিবস পালন করার দরকার নেই।’’ গত বারের মতো গির্জা যোগ দিবসের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়নি। মিজোরামের আয়ুস শাখা ২৯ আসাম রাইফেলস-এর মাঠে বড় করে যোগ দিবসের অনুষ্ঠান করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল-সহ সরকারি অনেক আমলাও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন