INS Vikramaditya

রণসজ্জা শেষ, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বিক্রমাদিত্য

কোচিতে অবশ্য জাহাজটিকে যেভাবে সারানো হয়েছে, তাতে সেই বাধ্যবাধকতা আর নেই।তাই আগামী পাঁচ-ছয় বছর কোনও বিরতি ছাড়াই সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে পারবে আইএনএস বিক্রমাদিত্য, এমনটাই জানাচ্ছেন সেনাকর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:২৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

রণসজ্জা শেষ ভারতের একমাত্র বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যের। আগামী ২৩ অক্টোবর কোচি বন্দর থেকে সমুদ্রে নামানো হবে ভারতের এই গর্বের যুদ্ধজাহাজকে। কয়েক দিন পরই এই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারকে নিয়ে যাওয়া হবে কর্নাটকে তার নিজের বন্দর কারওয়ার-এ।

Advertisement

২০১৩ সালে ভারতীয় নৌসেনায় যোগদানের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আগাগোড়া মেরামতির কাজ করা হল বিক্রমাদিত্যের। এই পর্যায়ে কাজ চলেছে লাগাতার পাঁচ মাস। খরচ পড়েছে ৭০৫ কোটি টাকা। সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় বিক্রমাদিত্যের মতো যুদ্ধজাহাজের পুরো মেরামতি করা সম্ভব হয় না। সেই কারণে তাকে নিয়ে আসতে হয় ড্রাই ডকে। সেক্ষেত্রে জাহাজের তলদেশেও মেরামতির কাজ করা সম্ভব হয়। সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ডুবুরি নামিয়ে শুধু ছোটখাট মেরামতির কাজই সম্ভব হয়।

এই পর্যায়ের কাজ ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, পরবর্তী নিয়মমাফিক মেরামতির জন্য ২০২০ বা ২০২১ সাল নির্দিষ্ট করা ছিল। কোচিতে অবশ্য জাহাজটিকে যেভাবে সারানো হয়েছে, তাতে সেই বাধ্যবাধকতা আর নেই।তাই আগামী পাঁচ-ছয় বছর কোনও বিরতি ছাড়াই সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে পারবে আইএনএস বিক্রমাদিত্য, এমনটাই জানাচ্ছেন সেনাকর্তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘একটি পরিবারকে তুলে ধরতেই নেতাজিকে উপেক্ষা করেছে কংগ্রেস’

কিছুদিন আগেই টেকনোডায়নামিকা নামের একটি রুশ কোম্পানিকে এই যুদ্ধজাহাজে মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম বসানোর বরাত দিয়েছিল ভারত। ২০১৯ সালের মে মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে সেই কাজও। জিএস ১ এম এফ এবং জি এস ৩ নামের দুটি হাইড্রলিক সিস্টেম লাগানো হচ্ছে বিক্রমাদিত্যে। প্রথমটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা, দ্বিতীয়টি যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার কাজে সাহায্য করবে। যন্ত্র লাগানোর পর তার মহড়া ভারতেই হবে বলে জানিয়েছিল রুশ সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: মহাকাল মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিল লস্কর-ই-তৈবা

২০১৪ সালে রাশিয়ার থেকে এই এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি কেনে নৌসেনা। খরচ পড়েছিল ১৬,১২৩ কোটি টাকা। জাহাজটিতে ৩০ টি মিগ যুদ্ধবিমান ও ছ’টি হেলিকপ্টার রাখা যেতে পারে। ২৮৪ মিটার লম্বা ও ৬০ মিটার উচ্চতার এই যুদ্ধজাহাজ ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু, ওজন ৪০০০০ টন। পৃথিবীতে খুব কম দেশের কাছেই আছে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বা এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার।বিভিন্ন মহাসাগরে বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই রণতরীর সাহায্যে।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন