ভুয়ো সংঘর্ষে খুনের অভিযোগে হইচই

ভুয়ো সংঘর্ষে দুই যুবককে মেরে তাঁদের জঙ্গি সাজিয়েছিল যৌথ বাহিনী— এমনই দাবি করলেন এক সিআরপি কর্তা! সিআরপি আইজি-র (উত্তর-পূর্ব) দাখিল রিপোর্ট ঘিরে হইচই ছ়ড়াল অসম জুড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ০৩:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভুয়ো সংঘর্ষে দুই যুবককে মেরে তাঁদের জঙ্গি সাজিয়েছিল যৌথ বাহিনী— এমনই দাবি করলেন এক সিআরপি কর্তা! সিআরপি আইজি-র (উত্তর-পূর্ব) দাখিল রিপোর্ট ঘিরে হইচই ছ়ড়াল অসম জুড়ে।

Advertisement

গত ৩০ মার্চ চিরাং জেলার সিমলাগুড়ি গ্রামে সংঘর্ষে দুই এনডিএফবি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ, সেনা, সিআরপি কোবরা বাহিনী। নিহত লুকাস নার্জারি ও ডেভিড ইসলারির কাছ থেকে মেলে একটি ইনস্যাস রাইফেল, রিভলভার, গ্রেনেড, গুলি।

অসমের মুখ্যসচিব, সিআরপি-র তদনীন্তন ডিজি, রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে ওই ঘটনা নিয়ে ১৭ এপ্রিল একটি রিপোর্ট পাঠান শিলংয়ে মোতায়েন সিআরপি আইজি (উত্তর-পূর্ব) রজনীশ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রিপোর্টে তিনি জানান— জিপিএস তথ্য অনুযায়ী সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা আগেই কোবরা জওয়ানরা সিমলাগুড়ি গিয়েছিলেন। অর্থাৎ আগেভাগে জায়গা বাছাই করে রাখা হয়েছিল। যে দু’জনকে জঙ্গি সাজিয়ে মারা হয়, তাঁদের আগেই ডি কালিং গ্রাম থেকে আটক করে নিয়ে এসেছিল অসম পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও রয়েছে। রজনীশের সন্দেহ, দু’জনকে মারার পরে অস্ত্র দেহগুলির পাশে সাজিয়ে রাখা হয়। রজনীশ তাঁর রিপোর্টে লিখেছেন, যে ভাবে পুলিশ, সেনা, আধা সেনা হাত মিলিয়ে, ঠান্ডা মাথায় ভুয়ো সংঘর্ষ ঘটিয়েছে, তা নিরাপত্তাবাহিনী ও প্রশাসনিক কাঠামোর পক্ষে আশঙ্কার।

Advertisement

সিআরপি ডিজি আর আর ভাটনগর জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যে অসম পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজি মুকেশ সহায় জানান, এক জন আইজি ও ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার তদন্ত করছেন। তা শেষ হলে এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে। আইজিপি (বিটিএডি) অনুরাগ অগ্রবাল ওই সংঘর্ষের বিবরণ সংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। বুধবার তিনি ফোনে বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে এখনই আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। রিপোর্ট আমি দেখিনি।’’ মুখ্যসচিব বিনোদকুমার পিপারসেনিয়াও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement