নেমন্তন্ন ছিল উদ্ধব ঠাকরে-সহ গোটা শিবসেনা পরিবারের। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি রাওসাহেব দানভের ছেলে সন্তোষের বিয়ে। কার্ড দিতে নিজে মাতোশ্রীতে গিয়েছিলেন রাওসাহেব। সন্তোষ আবার বিধায়কও। তবু গত কাল সেই বিয়েবাড়িতে যাননি শিবসেনার কেউ।
অবস্থা এখন এমনই। বৃহন্মুমুম্বই পুরসভায় বোর্ড গড়তে এখনও শিবসেনার সঙ্গে রফায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছে বিজেপি। মেয়র পদে প্রার্থী দেওয়ার সময়সীমা শুরু হচ্ছে আগামিকাল। ভোটাভুটি হবে ৮ মার্চ। কিন্তু উদ্ধব যেখানে সামাজিক সম্পর্কই রাখতে চাইছেন না, তখন রফার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে কংগ্রেস জানিয়েছে, মেয়র পদে তারাও প্রার্থী দিতে পারে। এনসিপি ও সমাজবাদী পার্টির সমর্থন চেয়েছেন মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান সঞ্জয় নিরুপম। ত্রিমুখী লড়াই হলে যার প্রার্থী সবথেকে বেশি ভোট পাবেন, তিনিই মেয়র হবেন।
এখনও পর্যন্ত শিবসেনার হাতেই সংখ্যা বেশি। সে ক্ষেত্রে বিজেপিকে আটকে শিবসেনাকে সুবিধে করে দিতে পারবে কংগ্রেস। যদিও সঞ্জয়ের বক্তব্য, কংগ্রেসের পক্ষে শিবসেনা বা বিজেপি, কাউকেই সমর্থন করা সম্ভব নয়। ভোটাভুটিও অনুপস্থিত থেকে তারা কারও সুবিধেও করে দেবে না। দল নিজেই প্রার্থী দিতে পারে।
মহারাষ্ট্রের রাজস্বমন্ত্রী, বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত পাটিল অবশ্য আজও দাবি করেছেন, শিবসেনার সঙ্গে রফার বিষয়ে তিনি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি ভোটাভুটিই হয়, সেই সম্ভাবনার কথা ভেবে শিবসেনার চোখে ধুলো দিয়ে ছোট দল ও নিরপেক্ষ কাউন্সিলরদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। বস্তুত, আজই তারা অখিল ভারতীয় সেনার কাউন্সিলর গীতা গাওলিকে দলে টেনেছে। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন অরুণ গাওলির কন্যা গীতাকে পুরসভায় লোভনীয় পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
পুরভোটে বিজেপি পেয়েছে ৮২টি আসন, শিবসেনা ৮৪টি। ফারাক মাত্র দু’টি আসনের। কাজেই ত্রিমুখী লড়াইয়ে নিরপেক্ষরাই নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।