National News

শশীকে ধাক্কা দিয়ে হাত মেলানোর পথে পনীর-পলানী

শশিকলা নটরাজনকে এডিএমকে-র শীর্ষপদ থেকে সরানোর তোড়জোড় শুরু করে দিলেন ই পলানীস্বামীরা। পনীরসেলভম শিবিরের সঙ্গে পুনর্মিলনের স্বার্থেই শশিকলাকে ঝেড়ে ফেলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে চেন্নাইয়ের রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা এখন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১৯:৩১
Share:

পলানীস্বামীর নেতৃত্বাধীন আম্মা ক্যাম্প যে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে দলের দুই বিবদমান শিবিরের পুনর্মিলনের জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। ছবি: পিটিআই।

জুড়তে চলেছে এআইএডিএমকে-র দুই গোষ্ঠী। জোর জল্পনা চেন্নাইয়ের রাজনৈতিক শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী (ইপিএস) এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভমের (ওপিএস) নেতৃত্বাধীন দুই বিবদমান শিবির মতানৈক্য ভুলে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে বলে খবর। ইপিএস বা ওপিএস, কোনও শিবিরই এ নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। কিন্তু এআইএডিএমকে (আম্মা ক্যাম্প) অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী যে ভাবে শশিকলা নটরাজন এবং তাঁর ভাইপো টি টি ভি দিনকরণকে দল থেকে ঝেড়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে, তাতে ওপিএস-ইপিএস সন্ধির ইঙ্গিতই মিলছে বলেই রাজনৈতিক শিবিরের দাবি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার চেন্নাইতে বৈঠকে বসেছিল এআইএডিএমকে (আম্মা ক্যাম্প) নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শশিকলা নটরাজন তত ক্ষণই দলের শীর্ষপদে থাকছেন, যত ক্ষণ না পর্যন্ত নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হচ্ছেন। অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদক পদে অন্য কাউকে বেছে নিয়ে দুর্নীতির মামলায় জেলবন্দি শশিকলাকে সরিয়ে দেওয়ার দরজাটা খুলে দিলেন ই পলানীস্বামীরা।

পলানীস্বামীরা যে পথে এগোচ্ছেন, তাতে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে পনীরসেলভমের হাসি। ছবি: পিটিআই।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলে যাওয়ার আগে যাঁকে দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক করে গিয়েছিলেন শশিকলা, সেই টি টি ভি দিনকরণকে এ দিন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালে জয়ললিতা নিজেই দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন দিনকরণকে। জয়ললিতার প্রয়াণের পর যে ভাবে দিনকরণকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পরের দিনই সহ-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, তাতে দলীয় সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে আম্মা ক্যাম্পের নেতারা সহমত হয়েছেন। তার ভিত্তিতেই দিনকরণকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: এ দেশের মুসলিমরা অস্বস্তিতে, হামিদের মন্তব্যে ‘রাজনীতি’ দেখছে বিজেপি

ও পনীরসেলভমের দাবিগুলি কিন্তু অনেকটা এই রকমই ছিল। শশিকলা ও দিনকরণকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং জয়ললিতার মৃত্যুর তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিতে হবে— তবেই ইপিএস শিবিরের সঙ্গে হাত মেলাবেন ওপিএস এবং তাঁর অনুগামীরা। জানানো হয়েছিল পনীরদের তরফ থেকে। শশিকলা এবং দিনকরণকে এখনও বহিষ্কার করা হয়নি ঠিকই। কিন্তু শশীর নির্দেশ দল চলছে না, ২৭ জনের হাই-লেভেল প্যানেল যাবতীয় দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে বলে ইপিএস-রা এ দিন জানিয়েছেন। অর্থাৎ পনীরদের দাবি মেনে নিতে যে আপত্তি নেই, পলানীরা এ দিন সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন।

আরও পড়ুন: জিতেও হেরে গেলেন অমিত

সপ্তাহখানেকের মধ্যেই তামিলনাড়ুর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে চেন্নাইতে। সেই বৈঠকেই বিবদমান দুই শিবিরের পুনর্মিলনের শর্ত চূড়ান্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা যদি হয়, তা হলে শশিকলা নটরাজনের জন্য এআইএডিএমকে-তে যে আর কোনও জায়গা থাকবে না, সে এক রকম নিশ্চিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন