নরেন্দ্র মোদী
অম্বানীর পরে আদানি।
রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে যুদ্ধ এখনও চলছে। অনিল অম্বানীকে এই লেনদেনে নরেন্দ্র মোদী সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন রাহুল গাঁধীরা। আজ কংগ্রেসের নতুন অভিযোগ, চড়া দামে বিদ্যুৎ বেচার জন্য আদানি গোষ্ঠী, টাটা এবং এসারকে ৮৮ হাজার কোটি টাকার সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছেন মোদী। তা-ও আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে।
আজ দুপুরে জয়রাম রমেশ ও শক্তিসিন গাহিল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ইউপিএ আমলে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে ওই তিন গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তাতে স্পষ্ট লেখা ছিল, দেশের নীতি বদলালে বিদ্যুতের দামের হেরফের হতে পারে। কিন্তু বিদেশ থেকে কয়লা ও অন্যান্য জ্বালানি আনতে হচ্ছে বটে, কিন্তু সেখানে কোনও নীতি বদলালে দাম বাড়ানো যাবে না।
আরও পড়ুন: অম্বানীর আইনি চিঠির পাল্টা কটাক্ষ
অথচ ২০১২ সাল থেকেই আদানি গোষ্ঠী দাম বাড়ানোর জন্য চাপ দিতে শুরু করে। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, দাম বাড়ানো যাবে না। জয়রামের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই মোদীর নির্দেশে গুজরাত সরকার গত মাসে দামবৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে। যাতে দামবৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করা ব্যক্তিদেরই রাখা হয়েছে। শক্তিসিন বলেন, ‘‘কমিটি দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে কংগ্রেস ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। নরেন্দ্র মোদী শুধু বন্ধু শিল্পপতিদেরই সুবিধা পাইয়ে দিতে ব্যস্ত। মুখে অন্য কথা বলেন।’’