লালায় পুরবোর্ড গঠনে মরিয়া কংগ্রেস, বিজেপি

লালা টাউন কমিটির বোর্ড গঠন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন অসমের দাপুটে নেতা গৌতম রায়। তাঁর নির্বাচনী এলাকার একমাত্র শহরের বোর্ড গঠন হবে ৪ এপ্রিল। তিন দশক ধরে সেখানকার জনপ্রতিনিধি গৌতমবাবু। চার বারের মন্ত্রী, ছ’বারের বিধায়ক। বতর্মানে মন্ত্রী না থাকলেও, তিনি মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের উপদেষ্টা। বাড়তি দায়িত্ব ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের উপ-সভাপতির পদ।

Advertisement

অমিত দাস

হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৫০
Share:

লালা টাউন কমিটির বোর্ড গঠন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন অসমের দাপুটে নেতা গৌতম রায়।

Advertisement

তাঁর নির্বাচনী এলাকার একমাত্র শহরের বোর্ড গঠন হবে ৪ এপ্রিল। তিন দশক ধরে সেখানকার জনপ্রতিনিধি গৌতমবাবু। চার বারের মন্ত্রী, ছ’বারের বিধায়ক। বতর্মানে মন্ত্রী না থাকলেও, তিনি মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের উপদেষ্টা। বাড়তি দায়িত্ব ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের উপ-সভাপতির পদ। এখনও হাইলাকান্দির রাজনীতির শেষ কথা তিনিই। সেই দাপুটে নেতাই এখন তাঁর নিজের শহরের পুরবোর্ড গঠন নিয়ে হিমশিম হচ্ছেন। লালা টাউন কমিটিতে কংগ্রেসের বোর্ড গঠন নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের ভরসা গৌতমবাবুই। সম্প্রতি লালা শহরে এসে তিনি বলে গিয়েছেন, ‘‘এখানে কংগ্রেসের পুরবোর্ড গড়বই। এটা আমার জেদ।’’

পুরভোটে লালা টাউন কমিটির ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি দখল করে ৫টি। কংগ্রেস জিতেছে ৪টি ওয়ার্ড, ১টি নির্দল প্রার্থী জিতেছেন। ইতিমধ্যেই নির্দল বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথ কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। ফলে দু’পক্ষের কাছে ৫০-৫০ শক্তি রয়েছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসের বোর্ড দখলের ঘোষণায় শঙ্কিত বিজেপি শিবির। অসম প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ রায়ও দলের জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গৌতমবাবুর সুরেই লালায় বোর্ড দখলের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন।

Advertisement

তাই টাউন কমিটির দখল নিয়ে দু:টি শিবিরেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। পুরপ্রধান পদের প্রধান দাবিদার বিজেপির তপন নাথ বলেছেন, ‘‘৪ এপ্রিল বোর্ড গঠনে যে কোনও রকমের অনিয়ম রুখব। কাউকে ঘো়ড়া কেনাবেচার সুযোগ দেব না।’’ কিন্তু বিজেপি নেতারা মুখে যা-ই বলুন না কেন, গৌতম রায়ের ঘোষণায় কিন্তু তাঁরাও চিন্তিত। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা বলছেন, যে কোনও সময় তাঁদের অন্দরমহলে বিরোধীরা হানা দিতে পারে। তাতে ভাঙতে পারে গেরুয়া শিবির। সে দিকে তাকিয়ে লালা মণ্ডল বিজেপির কর্মকর্তারা নির্বাচিত ৫ পুরপ্রতিনিধিকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। ১৯৭২ সালে লালা টাউন কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে বোর্ডের দখল সিংহভাগ সময় ছিল কংগ্রেসের কব্জায়। ফলে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে লালা টাউন কমিটি বিজেপি দখল করুক, তা চান না গৌতমবাবু। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে প়়ড়তে হয়েছে। হাইলাকান্দি-সহ গোটা বরাক উপত্যকার তীক্ষ্ণ নজর তাই এখন আটকে প্রান্তিক শহর লালার উপর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন