পাঁচ শহরে রাফাল নিয়ে তির কংগ্রেসের

রাফাল-বিতর্ক সামনে রেখেই যে লোকসভার লড়াইয়ে নামবে কংগ্রেস, তা আজ কলকাতায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। কংগ্রেসের অভিযোগ, ইউপিএ আমলে ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে বিমান-পিছু দাম পড়ত প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১১
Share:

রাফাল-অস্ত্র হাতে কংগ্রেসের নেতাদের রণক্ষেত্রে নামিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

কলকাতা, গুরুগ্রাম, চণ্ডীগড়, ধানবাদ, ধর্মশালা— একসঙ্গে পাঁচ শহরে সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসের নেতারা আজ রাফাল নিয়ে নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এ রকম ৯০টি শহরে সাংবাদিক বৈঠক করে রাফাল-চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন তাঁরা।

রাফাল-বিতর্ক সামনে রেখেই যে লোকসভার লড়াইয়ে নামবে কংগ্রেস, তা আজ কলকাতায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। কংগ্রেসের অভিযোগ, ইউপিএ আমলে ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে বিমান-পিছু দাম পড়ত প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা। ২০১৫-তে মোদী ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করার পরে দাম পড়ছে ১৬৭০ কোটি টাকা করে। ইউপিএ-র চুক্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ কাজ পেত। নতুন চুক্তিতে সুবিধা পাচ্ছে অনিল অম্বানীর সংস্থা। চিদম্বরমের প্রশ্ন, কেন সরকার দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিচ্ছে না? জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান কেনার কথা বলা হয়েছিল। ৩ বছর কেটে গেলেও কেন একটিও বিমান আসেনি? কেন পুরো বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা হচ্ছে?

Advertisement

কংগ্রেস নেতারা মোদীর বিরুদ্ধে অনিলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলার পরেই অনিলের সংস্থা তাঁদের মুখ বন্ধ রাখতে সতর্ক করে নোটিস পাঠিয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ৫০০০ কোটি টাকার মানহানির মামলার নোটিস এসেছে। একই অঙ্কের মানহানির মামলার নোটিস পেয়েছে কংগ্রেসের মুখপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ডও। রাহুল নেতাদের জানিয়েছেন, তিনি তাঁদের পাশে আছেন। জার্মানি ও ইংল্যান্ড সফরে সরাসরি নাম করেই তিনি বলেছেন, অনিলকে রাফালের বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁর মাথায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার দেনা। কিন্তু একটিও বিমান তৈরির অভিজ্ঞতা নেই। তার পরে আজ চণ্ডীগড়ে কাগজের প্লেন হাতে অজয় মাকেন, সুনীল জাখর-রাও অনিলের নাম করে সরব হয়েছেন। ধানবাদে সুর চড়িয়েছেন শাকিল আহমেদ, ধর্মশালায় প্রতাপ সিংহ বাজওয়া, গুরুগ্রামে পবন খেরা।

চিদম্বরম অবশ্য আজকের সাংবাদিক বৈঠকে অনিল অম্বানী বা তাঁর সংস্থা ‘রিলায়্যান্স ডিফেন্স’-এর নাম উচ্চারণ করেননি। এমনকি, ‘রাফাল বিতর্ক’-কে ‘দুর্নীতি’ বলতেও রাজি হননি। এমনিতেই নানা মামলায় জেরবার চিদম্বরমের নতুন মামলা এড়াতেই এই কৌশল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চিদম্বরমের বক্তব্য, ‘‘আমরা প্রশ্ন তুলছি। সরকারের দায়িত্ব উত্তর দেওয়া। কিন্তু সরকারের কাছে জবাব নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন