ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর ৫৬ ইঞ্চি ছাতি চুপসে দিতে তাঁর বিদেশসচিবের ‘কবুলনামা’কেই হাতিয়ার করল কংগ্রেস। কালই যিনি বলেছিলেন, এর আগেও নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে হামলা করেছে ভারতীয় সেনা।
কাল বিদেশ মন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর বলেন, অতীতেও ভারতীয় সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে হামলা করেছে। তবে পোড় খাওয়া এই কূটনীতিক ঘুণাক্ষরেও ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি। কারণ, বিবাদ ওই শব্দটি নিয়েই। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর বলেন, আগে কোনও দিনই ভারতীয় সেনা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেনি। কংগ্রেসের দাবি, ইউপিএ জমানায় ২০১১ ও ২০১৩ সালেও ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ হয়েছে। একবার তিন পাকিস্তানি সেনার মুণ্ডও কেটে আনে ভারতের জওয়ানরা।
কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে সেনা অভিযান নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্ব যাতে খাটো না হয়, তার জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘অতীতের হামলাগুলো ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’-এর নেওয়া সিদ্ধান্ত। প্রতিপক্ষকে কাবু করতে স্থানীয় কম্যান্ডাররা মাঝেমধ্যেই এ ধরনের হামলা করে। হামলার পরে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করা হয়। কিন্তু এ বারের সেনা অভিযান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে করেছে।’’ কংগ্রেসের বক্তব্য, এ বার নিয়ন্ত্রণরেখা পেরোনোটাকেই প্রচারেরডুগডুগি হিসেবে ব্যবহার করছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু অতীতেও তো এটি হয়েছে। কাল সেটাই কবুল করেছেন মোদী সরকারের বিদেশসচিব।
দিল্লিতে এআইসিসি সদর দফতরে আজ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘সে সময় নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে হামলা করে সেটিকে প্রকাশ্যে না বলাটাই ছিল সরকারের নীতি। এ বার মোদী সরকার হামলার কথা প্রকাশ্যে এনেছে। ফারাক এইটুকুই। তাতে রাজনীতির কী আছে? ৫৬ ইঞ্চি ছাতি বাজানোরই বা কী আছে? কাল বিদেশসচিব বলেছেন, সেটিই প্রকাশ্যে আনুক না মোদী সরকার!’’
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সরকারের মিথ্যাকে খোলসা করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। সত্যি কথাটা বলে পূর্বসূরি সুজাতা সিংহের মতো চাকরি খোয়াবেন না তো তিনি! ’’