কালো টাকা উদ্ধারের অভিযানে নেমে দুর্নীতি দমন করতে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই সময়ে তাঁরই সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর বিরুদ্ধে ৪৫০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠল। একটি অডিও টেপ সামনে এনে কংগ্রেস আজ রিজিজুর ইস্তফা দাবি করেছে।
অরুণাচলের কামেং জেলায় ৬০০ মেগাওয়াটের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির জন্য দু’টি বাঁধ তৈরির কথা ছিল। কিরেণের সম্পর্কিত ভাই গোবোই রিজিজু এই প্রকল্পের এক জন ঠিকাদার। বাঁধ তৈরির জন্য পাথর সরানোর কাজ করছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই কাজে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে মনগড়া বিরাট অঙ্কের বিল পাঠান গোবোই। আর তা পাশ করাতে রিজিজু বিদ্যুৎমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। বিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মাণ করছিল ‘নর্থ ইস্টার্ন ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার কর্পোরেশন’ বা নিপকো। ওই সংস্থার চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার ছিলেন গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার সতীশ বর্মা।
সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা ক্যাট-এর কাছে সতীশ বর্মা অভিযোগ এনেছেন, তিনি ওই দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার পরেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সতীশ জানিয়েছেন, সিবিআই, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন ও কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছেও এ নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তিনি।
আজ একটি অডিও টেপ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁর দাবি, ২০১৫ সালের ওই টেপটিতে রিজিজুর সম্পর্কিত ভাইয়ের সঙ্গে সতীশ বর্মার কথোপকথন ধরা রয়েছে। সেখানে গোবোই একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত বিল পাশ করে দিতে অনুরোধ করছেন সতীশকে। তার বদলে তাঁর পদোন্নতিতে কিরেণ রিজিজু সাহায্য করবেন বলেও ওই আইপিএস অফিসারকে আশ্বাস দিচ্ছেন গোবোই।
রণদীপের আরও দাবি, অরুণাচলে কংগ্রেস শাসনের অবসান হতে চলেছে বলেও টেপে মন্তব্য করেছেন গোবোই। এর পরেই অরুণাচলে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটানো হয়েছিল। যদিও এই টেপটির সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি।
তবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পরে মেজাজ হারিয়ে রিজিজু বলেন, ‘‘যাঁরা মিথ্যে অভিযোগ করছেন, অরুণাচলে গেলে তাঁদের জুতো মারা হবে।’’