কর্নাটকের জয়নগরে জিতলেন কংগ্রেসের সৌম্যা রেড্ডি।
জোটের ধাক্কায় ফের ধরাশায়ী বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসবার পরেও জোটের যে প্যাঁচে ইয়েদুরাপ্পার ‘মুখের গ্রাস’ কেড়ে নিয়েছিল কংগ্রেস ও জেডিএস, সেই একই কায়দায় জয় এল কর্নাটকের জয়নগর কেন্দ্রেও। অস্ত্রের নাম জোট।
গত ১২ মে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয়। কিন্তু, জয়নগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তার আগেই মারা গিয়েছিলেন। সেই কারণে স্থগিত হয়ে যায় ভোট। পাশাপাশি আরআরনগর কেন্দ্রে একটি বাড়ি থেকে প্রচুর সচিত্র পরিচয়পত্র উদ্ধার হওয়ায় স্থগিত রাখা হয়েছিল ওই কেন্দ্রের ভোটও। আরআরনগরে আগেই ভোট হয়। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী জিতেছিলেন। অন্য দিকে, জয়নগর কেন্দ্রে ভোট হয় গত ১১ জুন। বুধবার সেই কেন্দ্রের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, জোট অস্ত্রে ফের ঘায়েল হয়েছে বিজেপি।
ওই কেন্দ্রে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে অলিখিত ভাবে কংগ্রেসকেই সমর্থন করেছিল জেডিএস। আর তাতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজেপিকে প্রায় চার হাজার ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্যা রেড্ডি ।গণনা শেষে দেখা গিয়েছে, বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৫০ হাজার ২৭০টি ভোট। আর কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্যা রেড্ডির ঝুলিতে এসেছে ৫৪ হাজার ৪৫টি ভোট। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, জেডিএসকে পাশে পাওয়ার ফলেই জয় পেয়েছে কংগ্রেস। অন্যথায় ফল অন্য রকম হতে পারত।
আরও পড়ুন: নজরে ৪০০, একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিতে আসরে রাহুল
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ৪ বিএসএফ জওয়ানকে গুলি করে মারল পাকিস্তান
যাঁর মৃত্যুতে জয়নগর কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছিল, সেই বিজয়কুমারের ভাই প্রহ্লাদকে জয়নগর কেন্দ্রেদাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জোটের হাওয়াতেই কার্যত বাজিমাত করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্যা রেড্ডি।
আর আগে ১২ মে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ১০৪টি আসন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু জেডিএস ও কংগ্রেস জোটের সামনে পড়ে আস্থা ভোটের আগেই তিনি সরে দাঁড়ান। আজ জয়নগর কেন্দ্রে জয়ের ফলে ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা দাঁড়াল ৮২। জোট পৌঁছল ১২০-তে।