ছবি: সংগৃহীত।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একই ফ্রেমে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেরেসা মে। কী কথোপকথন হল?
টেরেসার দিকে তাকিয়ে মোদী বলছেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিরোধীরা আমাকে নিয়ে কেমন ধরনের মেমে বানাতেই থাকে?’ মোদীর শব্দ সংশোধন করে ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠলেন, ‘মেমে নয়, ওটাকে মিম বলে।’ আর ঠিক তখনই টেরেসা বললেন, ‘তুই চা-ই বিক্রি কর।’
তিন জনের ছবির সঙ্গে ব্লার্বে উপরের কথোপকথনটি লেখা। গোটাটাই কাল্পনিক। এই ছবি-সংলাপই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জড়িযেছে বিতর্কে যুব কংগ্রেস। তাদের তরফে ওই টুইট মুছে ফেলা হলেও বিজেপি নেতারা কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের কটাক্ষ, “সনিয়া গাঁধী এবং রাহুল গাঁধী, আপনারা এখনও বিশ্বাস করেন যে, কেবলমাত্র আপনাদেরই ভারত শাসনের স্বর্গীয় ক্ষমতা রয়েছে? যুব কংগ্রেসের এই টুইটের জবাব চায় দেশ, যা গরিবের পক্ষে অত্যন্ত অপমানকর এবং লজ্জাজনক। আপনার ওই টুইটটা মুছে দিতে পারেন কিন্তু, তাতে গরিবদের সম্পর্কে আপনাদের মানসিকতাই ফুটে উঠেছে।”
আরও পড়ুন
দাদাকে যেতে দিন, ভিড়কে আর্জি দীপার
আইনের চিন্তা তাৎক্ষণিক তালাক বন্ধে
তবে, এ ধরনের তামাশা যে দলীয় ঐতিহ্য নয় তা জানিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোগী হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, “দল এ ধরনের রঙ্গতামাশা একেবারেই অনুমোদন করে না। বরং তা অগ্রাহ্যই করে। নীতি বা মতের অমিল থাকতেই পারে, তা একপাশে সরিয়ে রেখে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদের সম্মান জানানোই কংগ্রেসি ঐতিহ্য।”
নরেন্দ্র মোদীকে ‘চা-ওয়ালা’ বলে ব্যঙ্গ করে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছে কংগ্রেস। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে গিয়ে যৌবনে নিজের চা-বিক্রির অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করে এক দলীয় সভায় মণিশঙ্কর আইয়ার বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদী কখনই দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। ...তবে তিনি চা বিক্রি করতে চাইলে দিল্লিতে একটা জায়গা খুঁজে দিতে পারি আমরা।।”