শ্রীদেবীর শোক জানাতে গিয়ে নাজেহাল কংগ্রেস। ফাইল চিত্র।
শ্রীদেবীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোক জানাতে গিয়ে বিশ্রী অবস্থায় পড়ে দিনভর নাকানি চোবানি খেল রাহুল গাঁধীর দল।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ড্ল থেকে শ্রীদেবীর মৃত্যুতে একটি শোকবার্তা পোস্ট করা হয়। একই সঙ্গে তাতে লেখা হয়— ‘২০১৩-য় ইউপিএ আমলেই তাঁকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়।’
সঙ্গে সঙ্গে ইট-পাটকেলের মতো ধেয়ে আসতে থাকে পাল্টা টুইট, যার মর্মবস্তু— দোহাই এই শোকের দিনে রাজনীতি করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছি-ছি রব উঠে যাওয়ায় কয়েক ঘণ্টা পরে কংগ্রেস টুইটটি মুছে ফেলে। তার কয়েক মিনিট বাদে আর একটি টুইট পোস্ট করা হয়, যাতে শুধুই শোকের কথা রইল। বলা হল অভিনেত্রী শ্রীদেবী আমাদের সকলের হৃদয়ে রয়ে যাবেন।
কিন্তু এখানে থামতে জানলে তো সমস্যা মিটেই যেত। কয়েক মিনিট পরেই কংগ্রেসের আরও এক মহাটুইট— শ্রীদেবী কত পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন, তার বর্ণনা দিয়ে। তার প্রথমেই পদ্মশ্রীর কথা, এবং সেটা যে ২০১৩-য় দেওয়া হয়েছিল সেই ঘোষণাও। অন্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে কিন্তু সাল-তারিখের উল্লেখ রইল না। লেখা হল, ‘তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছিলেন, যার মধ্যে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পান ২০১৩-য়। ৬টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি, যার মধ্যে প্রথমটি পান ১৪ বছর বয়সে।’
এর পরে তৃতীয় টুইটে একটি ছবিও পোস্ট করে কংগ্রেস। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় পদ্মশ্রী তুলে দিচ্ছেন শ্রীদেবীর হাতে। ইউপিএ আমলেই যে এই পুরস্কার— তা মনে করিয়ে দেওয়াই যে উদ্দেশ্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাল্টা টুইটের ইট-পাটকেল ফের তা নিয়ে। জনৈক নিতিন ভাণ্ডারী লিখেছেন, ‘প্রথম টুইট তোমরা মুছে দিলে... এমন শোকের একটা বিষয় নিয়ে কেন তোমরা হাস্যকর মন্তব্য করো... নির্বাচনে মানুষ যে তোমাদের ৪০ আসনে নামিয়ে এনেছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই... কারণ তোমরা সব কিছুর মধ্যেই রাজনীতি খুঁজে নাও... যাচ্ছেতাই।’
ইন্টারনেটে প্রচারের দলটিকে সম্প্রতি ঢেলে সেজেছেন নতুন সভাপতি রাহুল। কিন্তু প্রথম বড় খেলাতেই তারা দলের মুখ পুড়িয়ে ছাড়ল।