নেহরুর নাম বাদ? আশঙ্কায় কংগ্রেস

এই আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ পটেলের বক্তব্য থেকে। পটেল গত কাল বলেছিলেন, তিনমূর্তি ভবনটি আর নেহরুর স্মারক বলে গণ্য হয় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১৬
Share:

জওহরলাল নেহরু।

নেহরু স্মারক সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের নেতাদের। কংগ্রেসের আশঙ্কা, জওহরলাল নেহরুর নামটিও এ বারে বাদ পড়তে চলেছে সংস্থাটি থেকে!

Advertisement

এই আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ পটেলের বক্তব্য থেকে। পটেল গত কাল বলেছিলেন, তিনমূর্তি ভবনটি আর নেহরুর স্মারক বলে গণ্য হয় না। অনেক আগেই এ’টি সব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে। আজ নয়, অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই সময়ে কংগ্রেসের সদস্যরাও নেহরু সংগ্রহশালার কমিটিতে ছিলেন।

সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কারও নাম দেওয়ার প্রস্তাব এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে নেই। নতুন সংগ্রহশালার কাজ চলছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি এই কাজ শেষ হওয়ার কথা।’’ কিন্তু যে ভাবে

Advertisement

কর্ণ সিংহ, মল্লিকার্জুন খড়্গে, জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেস নেতাদের কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার পরে সরকার নাম বদলের কথাও ভাববে বলেই আশঙ্কা কংগ্রেসের। দলের এক নেতার কথা, তিনমূর্তি ভবনটি আগাগোড়া নেহরুর

স্মৃতিই বহন করছে। আমৃত্যু এ বাড়িতেই কাটিয়েছেন তিনি। সংগ্রহশালা নির্মাণের সময়ও নেহরুর জীবন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণই প্রধান লক্ষ্য ছিল। এখন শাসক দল সে সব ইতিহাস মুছে দিতে চায়। হিসেব দিয়ে কংগ্রেস জানাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেসের জমানায় বিভিন্ন প্রকল্পের নাম বদলে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে যেখানে নেহরু-গাঁধী পরিবারের কারও নাম রয়েছে। ‘জওহরলাল নেহরু নগর পুনরুজ্জীবন মিশন’-এর নাম বদলে করা হয়েছে ‘অম্রুত’ প্রকল্প। রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের নাম বদলে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নামে করা হয়েছে। ‘ইন্দিরা আবাস যোজনা’ হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনা’।

বিজেপির অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, কংগ্রেসেরই বা সব কিছু নেহরু-গাঁধী পরিবারে লোকেদের নামে রাখার কি দরকার? নরেন্দ্র মোদী তো এখনও নিজের নামে কোনও প্রকল্প করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন