অধিকারভঙ্গের নোটিস প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে

পাল্টা আক্রমণে নেমে ফের ব্লগ লিখলেন অরুণ জেটলি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে খোঁচা দিতে টেনে আনলেন বফর্সের প্রসঙ্গও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী আর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অধিকারভঙ্গের নোটিস আজ স্পিকারের কাছে জমা দিল কংগ্রেস। পাল্টা আক্রমণে নেমে ফের ব্লগ লিখলেন অরুণ জেটলি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে খোঁচা দিতে টেনে আনলেন বফর্সের প্রসঙ্গও।

Advertisement

আজ বিকেলে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের কাছে ওই নোটিস জমা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বীরাপ্পা মইলি, মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাফাল নিয়ে সংসদকে বিভ্রান্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই নোটিস আটকাতে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে গত কালই আসরে নামানো হয়েছিল। কংগ্রেসকে তাতে দমানো যায়নি।

জেটলির অভিযোগ, ভুয়ো বিতর্ক তৈরি করতেই রাফালের অভিযোগ ‘তৈরি’ করছে কংগ্রেস। অতীতে বফর্সের সময়ও ভি পি সিংহের ছেলের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল। বাজপেয়ী জমানায় হারের ভয়ে পাকিস্তানে চিনি রফতানির গল্প ফেঁদেছিল কংগ্রেস। এখনও কংগ্রেস বুঝতে পারছে, নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার ধারে কাছে কেউ নেই। জেটলির দাবি, রাফাল চুক্তি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই করা হয়েছে। ইউপিএ জমানাতেও যুদ্ধবিমানের দাম স্পষ্ট করা হয়নি। রাফাল চুক্তির গোপন শর্ত নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথোপকথনের যে দাবি রাহুল গাঁধী করেছিলেন, সেটিও টেকেনি।

Advertisement

কংগ্রেস সভাপতি অবশ্য আজও ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের সময় উপস্থিত ছিলেন মনমোহন সিংহ এবং আনন্দ শর্মা। এছাড়া, তাঁর টুইট, ২০১৪ সাল থেকে চার বার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বদল করেছে মোদী সরকার। এখন বোঝা যাচ্ছে, এর ফলে রাফাল চুক্তি নিয়ে ‘ব্যক্তিগতভাবে সমঝোতা’ করার সুযোগ পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই ‘রাফাল মন্ত্রী’রা কিন্তু চুক্তি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। যা জানার জানেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি তো নীরব!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement