সঙ্ঘকে রুখতে সেবাদল

কংগ্রেস দলে প্রশিক্ষিত ক্যাডার বাহিনী কেন থাকবে—এই আপত্তি সত্ত্বেও কংগ্রেস সেবাদল গঠন করেছিলেন জওহরলাল নেহরু ও এন এস হার্দিকর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২২
Share:

কংগ্রেস দলে প্রশিক্ষিত ক্যাডার বাহিনী কেন থাকবে—এই আপত্তি সত্ত্বেও কংগ্রেস সেবাদল গঠন করেছিলেন জওহরলাল নেহরু ও এন এস হার্দিকর। উদ্দেশ্য ছিল, গাঁধীর অহিংসার মতাদর্শে দীক্ষিত এই সেবা দলের কর্মীরা দেশ জুড়ে কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন। নেহরু নিজে কংগ্রেসের সেবা দলের প্রথম সভাপতি হন।

Advertisement

সঙ্ঘের দাপট যখন ক্রমশ বাড়ছে, তখন রাহুল গাঁধী কংগ্রেসের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে ফের চাঙ্গা করতে চাইছেন। যার লক্ষ্য, আরএসএস-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের নিজস্ব বিচারধারা তুলে ধরা এবং তৃণমূল স্তরে আমজনতার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি। সেই লক্ষ্য নিয়েই ৩০ বছর পরে সেবাদলের জাতীয় মহাঅধিবেশন বসছে। ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের অজমেঢ়ে এই অধিবেশনের জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি নিজে যোগ দেবেন।

১৯২৩-এ তৈরি এই সেবাদলই পরে ব্রিটিশ রাজত্বের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলনের সময়ে কংগ্রেসের প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। তৃণমূল স্তরে কংগ্রেসের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার পিছনেও কংগ্রেস সেবাদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এখনও কংগ্রেসের যে কোনও দফতরে বা কর্মসূচিতে মাথায় গাঁধী টুপি ও সাদা রঙের পোশাক পরিহিত এই সেবাদলের কর্মীদের মুখ বুজে কাজ করে যেতে দেখা যায়।

Advertisement

কিন্তু গত ৩০ বছরে সেবাদলের কোনও জাতীয় মহাঅধিবেশন হয়নি। জাতীয় অধ্যক্ষ লালজি দেশাই বলেন, ‘‘অজমেঢ়ের অধিবেশনে গোটা দেশের ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক যোগ দেবেন। রাহুল গাঁধীর বার্তা নিয়ে তাঁরা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বেন।’’

সেবাদলের নিজস্ব ড্রিল, ব্যান্ড, প্যারেড বাহিনী রয়েছে। দেশাইয়ের যুক্তি, দেশে যে ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গাঁধীর সত্য, অহিংসা ও সহিষ্ণুতার আদর্শকে তুলে ধরাই সেবাদলের কাজ হবে। তা হলেই মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর সার্ধশতবর্ষ সঠিক ভাবে উদযাপন করা যাবে। সেই কারণেই মহাঅধিবেশনের জন্য তৈরি অনুষ্ঠান স্থলের নাম রাখা হয়েছে ‘সত্যাগ্রহ ছাউনি’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement